সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের ইছামতি শাখা নদীর উপর পাকা সেতুটির অর্ধেকের বেশি ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে। বাকি অংশটুকুও জরাজীর্ণ। এই অংশে সেতুর সঙ্গে বাঁশ বেঁধে নদীতে খুঁটি পুঁতে সাঁকো বানিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসীরা।
এলাকাবাসীরা জানান, ইছামতি শাখা নদীর ওপর ১৯৯০ সালে নির্মিত সেতুটি ভেঙে গেছে প্রায় দুই বছর আগে। টোলবাসাইল গ্রামের সড়কের বাসাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম দিকে বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতির শাখা নদীটি। বাজারের কাছেই নির্মিত হয় সেতুটি।
ভেঙে পড়ার বছর তিনেক আগে সেতুটির মাঝের অংশ কিছুটা নিচু হয়ে গেছে বুঝতে পারেন তারা। স্থানীয় এলজিইডি অফিসে খবর দিলে তারা এসে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে যায়। সেই থেকে সেতু দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করত না। মাঝে মধ্যে ভ্যান, নসিমন, করিমন, বাইসাইকেল চলাচল করত। পণ্য পরিবহন করতে ১০-১২ কিলোমিটার ঘুরে পার হতে হয় ইছামতি নদী। প্রায় ১০ বছর ধরে সেতুটির দুরাবস্থা।
বাসাইল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আইয়ুব খান জানান, গত ১২ আগস্ট রাতে সেতুটির মাঝের অংশে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কা লেগে সেতুর পশ্চিম পাশের অংশ ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। এ সময় সেতুর উপরে থাকা দুই পথচারী আহত হন। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে সাঁকো পার হওয়ার ভয়ে গ্রামের অনেক ছেলে-মেয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সোয়েব বিন আজম বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে সেতুটির কাজ করা হবে । কাগজ পত্র আদান প্রদানের কারণে সময় লাগছে।