রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জাতিসংঘের সঙ্গে মিয়ানমারের যে চুক্তি হয়েছে তা দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময় আজ শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে বাংলায় দেয়া ভাষণে তিনি এই আহ্বান জানান।
জাতিসংঘে দেয়া ভাষণে বাস্তচ্যূত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুর্দশার স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধানে সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে তার পাঁচ-দফা প্রস্তাব বাস্তবায়ন না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আশাহত হয়েছি, কেন না আমাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের স্থায়ী ও টেকসই প্রত্যাবাসন শুরু করা সম্ভব হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার আমাদের প্রতিবেশী দেশ। প্রথম থেকেই আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার একটা শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে মিয়ানমার মৌখিকভাবে সব সময়ই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে বলে অঙ্গীকার করলেও বাস্তবে তারা কোনও কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গারা যতদিন তাদের নিজ দেশে ফেরত যেতে না পারবেন, ততদিন সাময়িকভাবে তারা যাতে মানসম্মত ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে বসবাস করতে পারেন, সে জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রেখে আমরা নতুন আবাসন নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। এজন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সহযোগিতার জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে রোহিঙ্গারা যাতে মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারেন তার জন্যও আমি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহযোগিতা চাচ্ছি।
এদিকে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান মিয়ানমারেই হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যেহেতু রোহিঙ্গা সমস্যার উদ্ভব হয়েছে মিয়ানমারে তাই এর সমাধানও হতে হবে মিয়ানমারে। জাতিসংঘের সঙ্গে মিয়ানমারের যে চুক্তি হয়েছে আমরা তারও আশু বাস্তবায়ন ও কার্যকারিতা দেখতে চাই। আমরা দ্রুত রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই।