মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনের রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক হত্যা, গণধর্ষণ এবং অন্যান্য নৃশংসতা সুপরিকল্পিত ও সমন্বিতভাবে চালিয়েছে।
সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত মার্কিন এক তদন্ত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছেন হয়েছে।
মার্কিন সরকারের এই প্রতিবেদন দেশটির পররাষ্ট্র বিভাগের ওয়েবসাইটে অনেকটা গোপনেই প্রকাশ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদন প্রকাশ নিয়ে কোনো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বা সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়নি।
মার্কিন ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর অভিযানকে গণহত্যা বা মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করা হয়নি। বাংলাদেশের কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে এক হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে মার্কিন সরকার ওই প্রতিবেদন তৈরি করে।
২০ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, তাদের ওপর জরিপ করে দেখা গেছে উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে চরম, বড় ধরনের, বিস্তৃত এবং আপাতদৃষ্টিতে রোহিঙ্গাদের ভয়ভীতি দেখানো ও উৎখাতের উদ্দেশ্যে সহিংসতা চালানো হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, সেনা অভিযানের ধরন ও মাত্রা ইঙ্গিত করে যে, ওই হামলা সুপরিকল্পিত ও সমন্বিত ছিল।
এর আগে জাতিসংঘের একটি স্বাধীন ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন জানিয়েছে, গত বছর রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী অভিযানে ব্যাপকহারে হত্যা, গণধর্ষণ ‘গণহত্যার উদ্দেশ্য’ নিয়েই চালানো হয়েছে। আর এজন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনী প্রধানসহ আরো পাঁচ সেনা কর্মকর্তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-এ বিচারের মুখোমুখি করা উচিত বলে জানায় তারা।
এব্যাপারে মিয়ানমারের দাবি যেহেতু তারা আইসিসির সদস্য নয়, তাই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য তাদের বিচারের এখতিয়ার নেই।
তবে আইসিসি জানিয়েছে, বাংলাদেশ তাদের সদস্য এবং রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে দেশটিতে আশ্রয় নিয়েছে, তাই তারা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের বিচার করতে পারেন।