Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

১০৬ হটলাইনে ফোন পেয়েই ৩ জেলার সিভিল সার্জন অফিসে দুদকের অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৩:৪৭ AM
আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৩:৪৭ AM

bdmorning Image Preview


মালয়েশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যগামী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় বেআইনিভাবে অর্থ আদায় বন্ধে দুদকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

স্বাস্থ্যসনদ প্রদানকালে অনৈতিকভাবে অর্থ দাবি করা হচ্ছে এবং বেসরকারি ক্লিনিকের সাথে যোগসাজশ করে বিভিন্ন টেস্ট বেসরকারি ক্লিনিক সমূহে করতে বাধ্য করা হচ্ছে এমন অভিযোগে গতকাল সোমবার(২৪ সেপ্টম্বর) ৩ জেলায় অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)। দুদকের হটলাইন ১০৬ নম্বরে এ সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ঢাকা, মাদারীপুর ও টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন অফিসে একযোগে অভিযান পরিচালনা করে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী ৩টি টিম গঠন করে তাৎক্ষণিকভাবে এ অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের(দুদক) জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এসময় এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা এসব অফিসে উপস্থিত বিদেশগামী ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে তাদের নিকট ঘুষ দাবি করা হচ্ছে কি না, তা জিজ্ঞেস করেন এবং দুর্নীতি ও ভোগান্তি ব্যতিরেকে ছাড়পত্র প্রদান নিশ্চিত করেন। এছাড়াও সকল টেস্ট যেন সরকারি হাসপাতাল থেকে করানো যায়, তা তদারকি করে দুদক টিম। অনৈতিক অর্থ আদায় তৎপরতা এবং স্বাস্থ্যগত ছাড়পত্র প্রদানে হয়রানির কোন ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে দুদক হটলাইন ১০৬-এ জানানোর পরামর্শ দেন দুদক টিমের সদস্যরা।

এ অভিযান প্রসঙ্গে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিমের সমন্বয়ক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি অফিস দুর্নীতি মুক্ত রাখার লক্ষ্যে এ অভিযান চলবে।’

এর আগে গত রবিবার(২৩ সেপ্টেম্বর) একই অভিযোগে নোয়াখালী, কুমিল্লা, খুলনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়ায় একযোগে এ অভিযান পরিচালনা করে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। সে সময় স্থানীয় জনসাধারণ দুদকের এ উপস্থিতি ও অভিযানকে স্বাগত জানান। একই সাথে তারা দাবি করেন এভাবে দুদক যেন নিয়মিত পর্যবেক্ষণে আসে। তাহলে সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতি দুর হবে।

সেদিন অভিযান পরিচালনার বিষয়ে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিমের সমন্বয়ক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেছিলেন, ‘সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিভিল সার্জন অফিসকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে হবে। অনৈতিক অর্থ প্রদান বন্ধে প্রয়োজনে দুদক ট্র্র্যাপ(ফাঁদ) অভিযান চালাবে।’

Bootstrap Image Preview