'রাব্বি বর্তমানে আমার ছোট বোনের জামাই। প্রথমে আমার সঙ্গে ছিলো তার প্রেমের সম্পর্ক। আমাকে বিয়ের কথা বলে আমার সর্বনাশ করে। কিছুদিন পর সেই রাব্বি আমাকে রেখে আমার খালাতো বোনের সঙ্গে প্রেম করে তাকে বিয়ে করে।' নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া এমনই নির্মম কথাগুলো জানায় ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় প্রেমিকের ধর্ষণে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক কিশোরী।
জানা যায়, ভুক্তভোগী ঐ কিশোরী ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সাত নম্বর চর নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের রঘুরামপুর গ্রামের সবজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে লেখাপড়ার সময় তার জীবনে ঘটে এমন ঘটনা।
অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রী জানায়, রাব্বি আমাকে বিয়ে করবে বলে একাধিকবার আমার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। কিছুদিন পর রাব্বির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারে আমার আপন দুলাভাই রিপন। ওই সময় প্রেমের ঘটনাটি ফাঁস করে দেবে বলে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার সর্বনাশ করে দুলাভাই রিপন।
এরই মধ্যে পাঁচ মাস আগে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে না জানিয়ে তার আপন খালাতো বোনকে বিয়ে করে রাব্বি। এ ঘটনায় ভেঙ্গে পড়ে সে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ঐ ছাত্রী জানায়, রাব্বি বর্তমানে আমার খালাতো বোনের জামাই এবং একই এলাকার বাসিন্দা। আর দুলাভাই রিপন মিয়া পাশের ইউনিয়নের চর ঝাউগাড়া গ্রামের কালীবাড়ি এলাকার মৃত সালাম মিয়ার ছেলে।
নির্যাতিত ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়ে কেবল পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। মিথ্যা আশ্বাসে রাব্বি ও আমার মেয়ের জামাই মিলে তার ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিয়েছে। আমি এর জন্য আইনের আশ্রয় নেব।
বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্তো রিপন। তবে অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে রাব্বির মা মদিনা বেগম বলেন, আমার ছেলে রাব্বিকে প্রায় পাঁচ মাস আগে বিয়ে করিয়েছি। আমার ছেলেকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে ওই মেয়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিপনের স্ত্রী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানায়, এসব কথা শোনার পরই আমি বাবার বাড়িতে চলে আসি। আমি আমার স্বামীর উপযুক্ত বিচার চাই।
কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। লোকমুখে বিষয়টি শুনেছি। বিস্তারিত খোঁজখবর নেয়ার জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।