Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

খানাখন্দের সড়কে দুর্ভোগ চরমে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:৪২ AM
আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:৪৫ AM

bdmorning Image Preview


মাভাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ক্যাফেটেরিয়ায় তালা ও বাসায় হামলার অভিযোগ মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(মাভাবিপ্রবি)ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মাজেদুর রহমানের বাসায় হামলা-ভাঙচুরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষককে ক্যাফেটেরিয়া থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

গতকাল রবিবার দুপুর ২টায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পাঠিয়ে মাজেদুরের বাসায় দুই ধাপে ভাঙচুর তাণ্ডব চালায় ও বাসার মেয়েদের সাথে অশালীন ব্যবহার করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনার রেশ ধরে আজ সোমবার সকাল ১০টায় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ছাত্র-শিক্ষকদের বের করে দিয়ে ক্যাফেটেরিয়ায় তালা মারে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের মাজেদুরের বাসায় ভাঙচুর করতে পাঠায়।

জানা গেছে, মাজেদুরের বাসার পাশেই পাশেই দুলালের ৫ তলা বাসা ও ঈসমাইল ও সানোয়ার বাসা। দুলালের বাসায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫০-৬০ জন ছাত্রী বসবাস করে। মাজেদুরের জায়গার উপর দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরাসহ ঈসমাইল ও সানোয়ার বাসার লোকজন যাতায়াত করতো। সম্প্রতি দুলাল, ঈসমাইল ও সানোয়ার সাথে দ্বন্দ্ব হওয়ায় মাজেদুর রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুলাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এ তাণ্ডব পরিচালনা করেন।

অভিযোগ উঠেছে, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান তিন লক্ষ টাকা নিয়ে দুলালের পক্ষ হয়ে কাজ করে দিচ্ছে। তবে মাজেদুরের বাসায় ভাঙচুর, ক্যাফেটেরিয়া তালাবদ্ধ ও টাকা লেনদেনের বিষয় অস্বীকার করে সভাপতি সজীব তালুকদার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে এ কাজ করেছে।

হামলার শিকার হওয়া মাজেদুর রহমান বলেন, জায়গাটা আমার পৈত্রিক সম্পত্তি। যায়গা নিয়ে সমস্যা হওয়ায় আমি কোর্ট থেকে ১৪৪ ধারা জারি করাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের কারো সাথে আমার কোন শত্রুতা নাই। দুলাল তার ৫ তলা বাড়ি নির্মাণের সময় রাস্তার জন্য জায়গা রাখে নাই। আমাদের জায়গাকে তারা রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সমস্যা হলে অন্য জায়গায় থাকবে। আমাদের বরাবরই তাদের সাথে ভাল সম্পর্ক। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের বিষয় কিন্তু কেন এমন করছে বুঝতে পারছি না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি ভাঙচুরের খবর পেয়ে ছাত্রদের দুইবার সরিয়ে নিয়ে আসি এবং পুলিশ প্রসাশনকে অবহিত করি। ক্যাফেটেরিয়া তালা মারার ঘটনা শুনে আমি সেখানে যাই ও ছাত্র নেতাদের সাথে কথা বলে সাড়ে ১২টায় ক্যাফেটেরিয়া খুলে দেই।

Bootstrap Image Preview