চা বাগানের একটি গাছে ঝুলছে যুগলের লাশ। এই দৃশ্য দেখে আঁতকে ওঠার বদলে ছবি আর ভিডিও করতে ব্যস্ত মানুষ।
আজ রবিবার ভারতের জলপাইগুড়ির কান্তদিঘির কুমারপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে।
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ঘটনাই প্রমাণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেশায় সংবেদনশীলতাই হারিয়ে ফেলছে মানুষ। মৃত্যুও এখন আর সেভাবে ধাক্কা দিচ্ছে না মানুষের মনে।
খবরে বলা হয়, প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি ওই যুগলের পরিবার। তাই নিজেদেরকেই শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
জানা যায়, স্থানীয় যুবক বিক্রম রায়ের (২১) সঙ্গে অনেকদিন ধরেই সম্পর্ক ছিল মিমি কর্মকার (১৭) নামে এক কিশোরীর। কিন্তু সম্পর্কে সম্মতি ছিল না কিশোরীর পরিবারের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাস দেড়েক আগে দু’জনে পালিয়ে গিয়েছিল। তার পরে ফিরেও আসে। তবু সম্পর্কে রাজি দেয়নি পরিবার। এর পরই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় যুগল। আজ সকালে বাড়ির কাছেই একটি চা বাগানের মধ্যে একটি গাছে যুগলের ঝুলন্ত লাশ চোখে পড়ে স্থানীয়দের। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।