Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শিক্ষার্থীকে পেটানোর ঘটনায় মাভাবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:০৭ PM
আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:০৭ PM

bdmorning Image Preview


মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৪ আগস্ট অসামাজিক কার্যকালাপ ও মাদক গ্রহণে বাধা দেওয়ায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ওমর ফারুককে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় মামলা কায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ৮ জনের নাম উল্লেখ ও ১০ জনকে অজ্ঞাতনামায় আসামি করে টাঙ্গাইল জজকোর্টে এ মামলা দায়ের করে ওমর ফারুক।

এ বিষয়ে পরদিন শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অভিযোগও দেয়া হয়েছে।

টাঙ্গাঈল জজকোর্টে দায়েরকৃত মামলার ১নং আসামি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব তালুকদার, ২নং যুগ্ম-সম্পাদক রাজীব হোসেন, ৩নং সাংগঠনিক সম্পাদক জোবায়ের রহমান মিশু, ৪নং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ ইমরান রাব্বী, ৫নং সহ-সম্পাদক মেহেদী হাসান আশিক, ৬নং ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার রহমান, ৭নং সদস্য সায়েম ফেরদৌস খান অর্নব, ৮নং সদস্য সুমন আহম্মেদ ও ১০/১২ জন অজ্ঞাতনামায়।

অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে সনাক্ত হয়েছে- ১নং বিবিএ ২য় বর্ষ ১ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সুমন আরশেদ, ২নং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২য় বর্ষ ১ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সায়েম পেরদৌস খান, ৩নং গণিত বিভাগের ২য় বর্ষ ১ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী রিফাত, ৪ নং বিবিএ বিভাগের ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার রহমান, ৫নং আইসিটি ২য় বর্ষ ১ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী জসীম উদ্দিন খোকন, ৬নং গণিত বিভাগের ২য় বর্ষ ১ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী রনি, ৭নং বিবিএ বিভাগের ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান আশিক ও ৮নং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ১৪-২৫ জন।

এ বিষয়ে ওমর ফারুক বলেন, আমি দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলাম, এখন একটু সুস্থ। এ কারণে মামলা ও অভিযোগ করতে দেরি হয়ে গেছে। আমি ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য ছিলাম, এখনও আছি। অন্যায়ের বাধা দেওয়ায় আজ আমার এই অবস্থা। ছাত্রলীগের নামধারী কতিপয় দুস্ক্রিতিকারি আজ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া সংগঠনকে কলুষিত করছে। আমি দোষীদের জোড় শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, গত ১৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্বদ্যিালয়ের ৫ম গেটের পাশে রিয়া-দিয়া ছাত্রীনিবাসে প্রবেশের রাস্তায় ওমর ও তার সহযোগিরা গণিত বিভাগের এক ছাত্রী এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়। ওমর ও তার সহযোগিরা এ অবস্থা দেখে তাদের জিজ্ঞাসা ও বকাবাজি করে তাড়িয়ে দেয়। এরপরে ওমর তার রুমে ফিরে যায়। পরে সে জিয়া হলের সামনে বসে।

এর মধ্যেই লামিয়া তার বন্ধু সুমনকে ঘটনাটা ফোনে জানায়। এ সময় সুমন তার দলবল নিয়ে ওমরকে পিটাতে থাকে। এতে ওমরের শরীরে জখম ও কাধ থেকে হাড় সরে যায়। পরে আহত অবস্থায় ওমরকে টাঙ্গাঈল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Bootstrap Image Preview