Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

যে শহরে জন্ম নেয় শুধুই যমজ শিশু

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০২:৪০ PM
আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০২:৪০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলের ক্যান্ডিডো গোদই নামের একটি শহর রয়েছে; যেখানে সাত হাজারের মতো মানুষের বসবাস। শহরটি ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে রহস্য বিরাজ করছে। এই শহরে প্রচুর যমজ শিশুর জন্ম।

এই রহস্যের সমাধান করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এখনও কেউ জানেন না এর পেছনে কারণ কী!

দেশটির জাতীয় গড় জমজ শিশুর জন্মের হারের চেয়ে ১০ গুণ বেশি জমজ শিশুর জন্ম হয় শহরটিতে। কয়েক বছর ধরে এই রহস্যের সমাধানে কাজ করছেন জিনতত্ত্ববিদদের একটি দল। তারা শহরের বিভিন্ন পরিবারের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে কাজ করছেন।

জমজ দুই তরুণী বলেন, আমাদের কাছে এটা স্বাভাবিক। স্কুলে প্রচুর জমজ শিশু ছিল। অনেক বন্ধু ছিল যারা জমজ। ক্যান্ডিডো গোদই বিশ্বের অল্প কয়েকটি শহরের একটি; যেখানে যমজ শিশুর জন্ম এতো বেশি।

এক তরুণী বলেন, কোন শিশু আসলে কে সেটা বুঝতে শিক্ষকদের অনেক সমস্যায় পড়তে হতো। একবার আমার বয়ফ্রেন্ড তার কাছে চলে যায়; আর তার বয়ফ্রেন্ড আমার কাছে চলে আসে। সেটা ভালো কিছু ছিল না।

স্থানীয়দের অনেকের বিশ্বাস, এর পেছনে নিশ্চয়ই অশুভ কিছু রয়েছে। অনেকে মনে করেন ফেরারি নাৎসি যুদ্ধাপরাধী ড. জোসেফ মেঙ্গেল ১৯৬০ এর দশকে এই শহরে এসেছিলেন। আউসভিৎস বন্দি শিবিরে জমজদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য কুখ্যাত ছিলেন তিনি।

স্থানীয় চিকিৎসক ড. অ্যানেনসি ফ্লোরেন্স ডি সিলভা বলেন, আমার বিশ্বাস মেঙ্গেল এই শহরে এসেছিলেন। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি না যে, তিনি এখানে এসে কাউকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন।

ক্যান্ডিডো গোদই শহরে দেখতে এক রকম কিংবা এক রকম নয়; এরকম জমজ শিশুর জন্ম যে বংশগত তার কোনো প্রমাণ নেই।

তবে মেঙ্গেল আসলে এই শহরে এসেছিলেন কি-না তার কোনো প্রমাণ নেই। ১৯৭৯ সালে মারা যান যুদ্ধাপরাধী মেঙ্গেল।

বিজ্ঞানীদের প্রত্যাশা, শহরটিতে জমজ শিশুর জন্মের রহস্য একদিন তারা ঠিকই উন্মোচন করবেন। কিন্তু এই রহস্য আপতত রয়েই গেছে।

Bootstrap Image Preview