ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, আমার দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে জড়ালে সাদ্দাম হোসেনের মতো পরিণতি ভোগ করবে ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ইরান-ইরাক যুদ্ধের দিকে ইঙ্গিত করে এই নেতা আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখেও মিসাইল বানানো অব্যাহত রাখবে তেহরান।
তিনি বলেছেন, ইরানি জনগণ ইরাকের সাবেক স্বৈরশাসক সাদ্দামের মতো বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেও পরাজিত করবে।
শনিবার ইরানের জাতীয় প্রতিরক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে তেহরানে সামরিক বাহিনীর প্যারেড ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় রুহানি এসব কথা বলেন বলে খবর প্রকাশ করেছে দেশটির প্রভাবশালী গণমাধ্যম আইআরআই।
রুহানি বলেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রসহ প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ক্ষুব্ধ। কিন্তু তাদের জেনে রাখা উচিত, ইরান কখনোই এ ক্ষেত্রে ছাড় দেবে না বরং প্রতিদিনই প্রতিরক্ষা শক্তি জোরদার করবে।
শুক্রবার রাতে এক টুইটার বার্তায় তিনি লিখেন, আমাদের অঞ্চল ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি সত্যিকারের হুমকি রয়েছে। সেটি হচ্ছে, ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দুর্বৃত্ত সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্বকে অস্থিতিশীল করাকে অধিকার মনে করা।
ইরানের শীর্ষ এই কূটনীতিক আরও লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই স্বাভাবিক রাষ্ট্রের মতো আচরণ করতে হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পর তেহরান-ওয়াশিংটন সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দেয়। তবে ইরানের ওপর নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এই সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটেছে।
‘যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই স্বাভাবিক রাষ্ট্রের ন্যায় কার্যক্রম শুরু করতে হবে।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে কূটনৈতিক কথার লড়াই শুরু হয়।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপক সমালোচনা করেন। এমনকি তিনি নির্বাচনে জয়ী হলে এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যাবে বলেও সেসময় অঙ্গীকার করেন; এবং শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন।