উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:
'মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে গত বছরের ২৫ আগষ্টের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৭ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা উখিয়া-টেকনাফের বনবিভাগের জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সরকার, বিভিন্ন দাতা সংস্থা এনজিওর মাধ্যমে ব্যাপক সাহায্য সহযোগিতা করে আসছে। বিশাল এ জনগোষ্ঠির খাদ্য খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা সেবা প্রদান করাটা সত্যিই একটি বড় চ্যালেঞ্জ কিন্তু সরকার সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় সকল বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে সফলতা দেখিয়েছেন।'
বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় উখিয়ার মধুরছড়া হোপ ফাউন্ডেশন কর্তৃক নবনির্মিত ৪০ শয্যা বিশিষ্ট হোপ ফিল্ড হসপিটাল ফর উইমেন উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোঃ আবুল কালাম।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়দের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে। হোপ ফিল্ড হসপিটালের কার্যক্রম সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার বলেন, হসপিটালের সার্বিক পরিবেশ, পরিস্থিতি ভালো লেগেছে।
হোপ ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট ইফতেখার মাহামুদ তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে বলেন, চিকিৎসাবঞ্চিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংস্থার পাশাপাশি ‘হোপ ফাউন্ডেশন’ বাংলাদেশ সরকার, ইউএনএফপিএ, এভরি মাদার কাউন্টস্-এর আর্থিক সহায়তায় শরণার্থী পূর্নবাসনের শুরু থেকেই মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে আসছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে হোপ ফাউন্ডেশনের ১০টি অস্থায়ী হসপিটাল চালু রয়েছে। স্থায়ী পরিকল্পনা নিয়ে ৪০ শয্যার এই হসপিটাল চালু করা হয়েছে। এ হসপিটালে অভিজ্ঞ চিকিৎক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমানো হোপ ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। হোপ ফাউন্ডেশন-ই একমাত্র বেসরকারী সংস্থা যেখানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশী সংখ্যক মিডওয়াইফদের কর্ম-সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পেরেছে। হোপ হসপিটালটি মুলত ‘হোপ ফাউন্ডেশন ফর উইমেন এন্ড চিলড্রেন অব বাংলাদেশ’ এর একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
১৯৯৯ সাল থেকে হোপ হসপিটালটি কক্সবাজারের রামু উপজেলার চেইন্দা নামক স্থানে কাজ শুরু করে। বর্তমানে কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় হোপ ফাউন্ডেশন কাজ করছে। রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়দের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হবে। এ ছাড়াও হিস্টুলা রোগীমুক্ত কক্সবাজার ঘোষণার অঙ্গিকার ব্যক্ত করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, হোপ ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফেরদৌসুজ্জামান, ড. গারডন ওয়ারলিক, ড. রুনাল্ড ভিলা প্রকল্প পরিচালক শওকত হোসেন ও হোপ ফিল্ড হসপিটাল উইমেন এর সহকারি প্রকল্প পরিচালক শাহানাজ বেগমসহ অন্যান্যরা।