গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম এনামুল কবিরের পরকিয়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইয়াছিন শেখ (৩৫) নামের এক যুবক। মঙ্গলবার দুপুরে গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মলনে আয়োজন করে ইয়াছিন শেখ। এরপর দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে "ওসির পরকিয়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলন" ও "ঘরে ঢুকে দেখি ওসি আমার বউয়ের সাথে শারিরিক সর্ম্পকে লিপ্ত" এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর থেকে এই বিষয় আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছে। সোসাল মিডিয়ায় উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
অনেকে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়েছে আর সেই পোষ্টে নানান রকম কমেন্ট করে সাধারন মানুষ। ছাত্রলীগ নেতা হাসিব শেখ নিউজটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন আসলে আমরা টুঙ্গিপাড়ার মানুষ ভাল নেই। ওসি সাহেব যে কত লোকের কাছ থেকে কত টাকা ঘুষ খেয়েছে তার কোনো হিসাব নেই। এই কথা গুলো বলা ও দেখার মত কেউ নেই। আমি টুঙ্গিপাড়ার একজন সাধারন মানুষ হিসাবে এর বিচার চাই। তাছাড়া এই লেখালেখির পর আমি নিরাপদ না, যেভাবেই হোক না কেন আমার উপর বিপদ আসবে। তারপরও কোনো কিছুর পরোয়া না করে আমি এর বিচার দাবি করছি। এই পোষ্টকে ঘিরে রয়েছে নানা করম কমেন্ট।
আরমান লিখেছেন ওসি সাব তো চোখ দিয়ে মানুষ খেয়ে ফেলে, যেভাবে তাকায়রে বাবা। রায়হান লিখেছেন এমন লোক টুঙ্গিপাড়া থাকে কি করে?। লিপন সিকদার লিখেছেন তোমরা টুঙ্গিপাড়ার মানুষ কি করো? চারিদিকে প্রতিবাদের ঝড় তোলো না কেন?
এছাড়া গোপালগঞ্জের সবচেয়ে বড় পাবলিক গ্রুপ গোপালগঞ্জের ফেরিওয়ালা, তে সোহান শিকদার একজন গ্রুপে নিউজটি শেয়ার করেছেন ও রয়েছে বিভিন্ন রকম। কমেন্ট মুন্সি মহিউদ্দিন মোল্লা লিখেছেন, ওসি বউ পরকিয়া করলে ওসি ওই ছেলেকে কী করতো ওসিকে কঠিন সাজা দেয়া উচিত, এম এম মিনহাজ লিখেছেন, ভাল পুলিশ। উনাকে পুরস্কার দেয়া হোক। বউ পটানোর সেরা পুরস্কার। মিজান মালিক লিখেছেন, টুঙ্গিপাড়ার ঈজ্জত শেষ। সেই রকম বিচার হওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করে ইয়ছিন শেখ বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর আমি ঢাকা যাই। ঢাকা থেকে ওই দিন গভীর রাতে বাড়ীতে ফিরে আসি। ওসি এনামুল কবীর টুঙ্গিপাড়া গ্রামে আমার বাড়ির শয়ন কক্ষে ঢুকে স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এ সময় আমি চিৎকার দিলে ওসি, আমার শ্যালক, শ্বাশুড়ি ঘর থেকে বের হয়ে আমাকে খুঁটির সাথে বেধে ফেলে। আমাকে পাগল আখ্যা দিয়ে তারা ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ওসি এ কে এম এনামূল কবীর আমাকে এ ঘটনার পর হয়রাণী করে চলছে। তিনি আমাকে মাদক মামলায় আসামি করার হুমকি দিয়েছে। ইতিমধ্যে আমাকে বাগেরহাট থানায় মাদক ও ব্যাংক চেক অবমাননা মামলার আসামি করা হয়েছে।
ইয়াছিন আরো বলেন আমার স্ত্রীর সাথে ওসির পরকীয়া নিয়ে আমি গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। গোপালগঞ্জের এএসপি (সার্কেল সদর) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বিষয়টি তদন্ত করেছেন। আমার সংসারের সুখ-শান্তি ফিরিয়ে আনতে আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক ন্যায় বিচার দাবি করছি।