ফিলিস্তিন ইনস্টিটিউশন ফর হিউম্যান রাইটসের (শাহেদ) বরাত কাতারি সংবাদমাধ্যম জানায়, সৌদি আরব লেবাননে বসবাসরত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের যাদের ফিলিস্তিনের পাসপোর্ট নেই তাদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
শাহেদ জানায়, লেবাননে অবস্থিত সৌদি দূতাবাস ট্রাভেল এজেন্টদের এই বিষয়ে অবহিত করেছে। দূতাবাস জানিয়েছে, যাদের ফিলিস্তিনি পাসপোর্ট নেই তাদের আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
মানবাধিকার গোষ্ঠীটি জানায়, সৌদি আরবের এই আকস্মিক সিদ্ধান্তে তারা উদ্বিগ্ন।
কাতারি সংবাদমাধ্যমটি এই বিষয়ে লেবাননে সৌদি দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। তবে এই বিষয়ে বৈরুতে ফিলিস্তিনি দূতাবাস সৌদি আরবের কাছ থেকে কোনও নির্দেশনা পায়নি।
ওই মানবাধিকার সংস্থাটি বলে, সৌদি আরবের আকস্মিক এ সিদ্ধান্তে তারা চিন্তিত। সৌদি আরবকে এর কারণ চিহ্নিত করতে হবে নইলে এ সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য একটা মারাত্মক পরিণাম বয়ে নিয়ে আসবে।
আল আরাবিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই সংস্থাটি এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে লেবাননে থাকা সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয় নি। এদিকে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে থাকা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের দূতাবাস বলছে তারা এখনো এ ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পায় নি।
সংস্থাটি বলে, এ সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য আরো একটি বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। কেননা এর ফলে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার আন্দোলন এবং দেশটিতে তাদের চাকরী পাওয়ার সুযোগ বাঁধাগ্রস্ত হবে। এছাড়াও তাদের হজ পালনের পথে প্রতিবন্ধক হবে এ সিদ্ধান্ত।
উল্লেখ্য, চলতি বছর জর্ডানের পাসপোর্টধারী কয়েক হাজার ফিলিস্তিনির হজের আবেদন করার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সৌদি আরব।
এছাড়া ২০১৩ সালে গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের ওমরাহ হজ পালনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটি। মিশরের সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনের রাফাহ সীমান্ত অঞ্চল দিয়ে নিয়মিতভাবে শরণার্থী পারাপার হতে দেখলে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।