Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও নারী সুরক্ষায় আইন পাশ হওয়া উচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০১:১৭ PM
আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০২:২৯ PM

bdmorning Image Preview


জাতীয় সংসদ ভবনে পার্লামেন্টারিয়ান ককাস অন চাইল্ড রাইটস এবং জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম-এর উদ্যোগে প্রস্তাবিত ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন ২০১৮’ হস্তান্তর সম্পর্কিত একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও যৌন হয়রানি থেকে নারীদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য আমাদের দেশে এই সংক্রান্ত একটি আইন পাশ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। তিনি উক্ত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।

সভাটি আজ বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের মিনিস্টার হোস্টেল সংলগ্ন আইপিডি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভাটি গার্লস অ্যাডভোকেসি অ্যালায়েন্স এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর সহায়তায় অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন মীর শওকাত আলী বাদশা এমপি, মাননীয় সভাপতি, পার্লামেন্টারিয়ান ককাস অন চাইল্ড রাইটস, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ। সভায় মাননীয় সংসদ সদস্যদের মধ্যে নাজমুল হক প্রধান, মনোরঞ্জন শীল গোপাল, জবুন্নেসা হীরণ, মো. আবুল কালাম, পঞ্চানন বিশ্বাস, মো. ইয়াসিন আলী, কাজী রোজী, অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম, কামরুন্নাহার চৌধুরী, অ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার, উম্মে রোজিয়া কাজল এবং অ্যাডভোকেট হোসন আরা। সভাটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম-এর সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার।

এছাড়া সভায় চারজন সিনিয়র জজ এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি বলেন, ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও যৌন হয়রানি থেকে নারীদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য আমাদের দেশে এই সংক্রান্ত একটি আইন পাশ হওয়া উচিত। সরকারিভাবে না হলেও বেসরকারিভাবে যেকোনো সংসদ সদস্য আইনটি সংসদে উত্থাপন করতে পারেন।’

সভায় উপস্থিত পঞ্চানন বিশ্বাস এমপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনি চাইলে এই আইনটি সংসদে উত্থাপন করতে পারেন। আজকেই স্পিকারকে এই বিষয়ে একটি নোটিশ দেন, যাতে আপনি পরবর্তী অধিবেশনের শুরুতেই বিলটি উত্থাপন করতে পারেন।’

উল্লেখ্য, পঞ্চানন বিশ্বাস এমপির পারিবারিক ব্যস্ততার কারণে জনাব অ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার এমপি সংসদে বিলটি উত্থাপন করবেন বলে সভায় জানানো হয়।

মীর শওকাত আলী বাদশা এমপি বলেন, ‘আমি মনে করি, যৌন হয়রানি প্রতিরোধ এটি একটি ভাল আইন হয়েছে। আইনটি পাশ হলে আমাদের নারীরা ও কন্যাশিশুরা উপকৃত হবেন।’

তিনি বলেন, ‘আইনটি সংসদে উত্থাপন করার ব্যাপারে মাননীয় ডেপুটি স্পিকার মো. ফজল রাব্বী মিয়া সহায়তা করবেন বলেছিলেন, তিনি তাঁর কথা রেখেছেন। বেশ কয়েকজন বিচারক আইনটির খসড়া তৈরিতে অবদান রেখেছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।'

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘বাংলাদেশের নারীরা অনেক দূর এগিয়েছে। তবে নারীরা এখনো বিভিন্নভাবে নির্যাতন ও বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। তাই নারীদের সুরক্ষা বিশেষ করে যৌন হয়রানি থেকে তাদের সুরক্ষা প্রয়োজন। প্রয়োজন এই সম্পর্কিত একটি আইন প্রণয়ন। এমন অনুধাবন থেকে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় এবং জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের পক্ষ থেকে অনেকের মতামতের ভিত্তিতে এই সম্পর্কিত একটি আইনের খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা আশা করি, আইনটি দ্রুত সংসদে পাশ হবে।’

সভার শুরুতে প্রস্তাবিত যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০১৮ প্রণয়নের প্রেক্ষাপটে, এই আইন প্রণয়ন অন্য আর কোন কোন আইন বিবেচনায় নেয়া হয়েছে, প্রস্তাবিত আইনে কী আছে এবং এই আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করেন কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম-এর সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি।

অনুষ্ঠানের শেষভাগে প্রস্তাবিত ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন ২০১৮’-এর একটি কপি ডেপুটি স্পিকার মো. ফজল রাব্বী মিয়া এবং মীর শওকাত আলী বাদশা এমপির হাতে তুলে দেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি।

Bootstrap Image Preview