যৌতুকের টাকার জন্যে নির্যাতনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এমন ঘটনা প্রায়ই চোখে পরে। তেমনই এক ঘটনার বলি হয়েছেন রাজশাহীতে শামিমা আক্তার নামে এক গৃহবধূ। যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রী শামিমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন স্বামী আবদুল কুদ্দুস। শুধু তাই নয় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেবার চেষ্টা করেছিলেন আবদুল কুদ্দুস। এ ঘটনায় তাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নিলুফার সুলতানা এ রায় দেন। এ মামলায় কুদ্দুসের মা মাসেকা বেওয়াসহ আরও তিনজন আসামি ছিলেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দেয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত কুদ্দুস রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার সাইধারা গ্রামের মেহের আলীর ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের দিকে নওগাঁর মান্দা উপজেলার শিলগ্রামের আক্কাছ আলী প্রামানিকের মেয়ে শামিমা আক্তারের সঙ্গে কুদ্দুসের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর কুদ্দুস যৌতুকের জন্য তার স্ত্রী শামিমাকে নির্যাতন করতেন। ২০১১ সালের ৪ নভেম্বর কুদ্দুস তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর ঘটনাটি তিনি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ারও চেষ্টা করেন।
তবে এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করেন শামিমা আক্তারের বাবা আক্কাছ আলী। পরে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনেও হত্যার বিষয়টি উঠে আসে।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) পরিদর্শক খুরশীদা বানু কনা জানান, রায় ঘোষণার সময় চার আসামিই আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী বজলে তৌহিদ আল হাসান বাবলা বলেন, অন্য তিনজন খালাস পাওয়াটা ঠিক আছে। তবে আসামি কুদ্দুস ন্যায় বিচার পাননি। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।