Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে রাণীনগরে তৈরি হচ্ছে সাব-স্টেশন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:২০ AM
আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:২০ AM

bdmorning Image Preview


রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুর এলাকায় প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে পল্লী বিদ্যুতের সাব-স্টেসনের কাজ চলেছে। এ মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করে আগামী মাসেই স্টেশনটি চালু করা হবে বলে আশা করছেন কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, স্টেশনটি চালু হলে প্রায় ২২ হাজার গ্রহক সেখান থেকে বিদ্যুৎ পাবে। একদিকে যেমন লো-ভোল্টেজের হাত থেকে রক্ষা পাবে তেমনি বিদ্যুৎ ভোগান্তি থেকেও মুক্তি পাবে উপজেলার অর্ধ-লক্ষাধিক গ্রাহক।

জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের বর্তমানে গ্রাহক ৫০ হাজার ৩শ'। গ্রাহকদের জন্য রাণীনগর উপজেলার চকমুনু সাব-স্টেশন থেকে পুরো রাণীনগর উপজেলা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। উপজেলার কোথাও ঝড়-বৃষ্টির কারণে গাছের ডাল ভেঙে অথবা কোন সমস্যা দেখা দিলে স্টেশনটি বন্ধ রেখে কাজ করতে হয়। এতে করে পুরো উপজেলাবাসী ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন হয়ে পরে। ফলে নানা রকম কাজকর্ম নিয়ে ভোগান্তিতে পরেন গ্রাহকদের।

এ ছাড়া অধিক দূরত্ব থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে গিয়ে অধিকাংশ সময় লো-ভোল্টেজের সমস্যাসহ অনাকাঙ্খিত বিদ্যুৎ বিভ্রাটে পরে গ্রাহকরা। ফলে বিশেষ করে ইরি-বোরো মৌসুমে জমিতে পানি সেচসহ নানা রকম ভোগান্তি পোহাতে হয় বিদ্যুৎ চালিত গভীর-অগভীর নলকূপ ও শিল্প প্রতিষ্ঠানকে।

'বর্তমান সরকারে উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ' এই স্লোগানকে সামনে রেখে উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করায় শুধুমাত্র একটি সাব-স্টেশন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে গিয়ে গ্রাহক সেবার মান অনেকটা ভেঙে পরে। গ্রাহকদের দোরগোরায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে এবং সেবার মান উন্নয়নে স্থানীয় সাংসদ ইসরাফিল আলম এর একান্ত প্রচেষ্টায় ১০ মেগাওয়াড ধারন ক্ষমতাসম্পন্ন আরো একটি সাব-স্টেশন কাজের জন্য প্রকল্প হাতে নেয় কর্তৃপক্ষ। আবাদপুকুর এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের একটি সাব-স্টেশন নির্মাণ করার জন্য জমি ক্রয় করে গত জানুয়ারি মাসে কাজ শুরু করা হয়। 

রাজশাহী ডিভিশনাল প্রজেক্ট-২ (আর আর ডি পি-২) এর আওতায় প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারি অর্থায়নে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে নির্মাণ কাজ বেশ এগিয়েছে। তবে আগামী মাসে স্টেশনটি চালু করার লক্ষে খুব দ্রুত গতিতে কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা। স্টেশনটি চালু হলে রাণীনগরের চকমুনু স্টেশন থেকে চারটি এবং আবাদপুকুর স্টেশন থেকে কালীগ্রাম, পারইল, একডালা ও বড়গাছা ইউনিয়নের জন্য চারটি ফিডারে ভাগ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।

তবে চকমুনু স্টেশন থেকে আবাদপুকুর সাব-স্টেশন অনেক উন্নত বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। এতে একদিকে যেমন লো-ভোল্টেজের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে অন্য দিকে মেইন লাইনে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ছাড়া কোণ সমস্যা থাকবে না। ফলে সব সমই নিরবিচ্ছিন্ন কাঙ্খিত মানের ভোল্টেজে বিদ্যুৎ সরবরাহ পাবেন গ্রাহকরা। এতে করে উপজেলার অর্ধ-লক্ষাধকি গ্রাহক ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে।

এ ব্যাপারে নওগা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর রাণীনগর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের একান্ত প্রচেষ্টায় প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলার আবাদপুকুর এলাকায় ১০ মেগাওয়াড ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি সাব-স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। এ মাসেই কাজ শেষ করে আগামী মাসেই স্টেশনটি চালু করার লক্ষে খুব দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। স্টেশনটি চালু হলে উপজেলার সব গ্রাহকরা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা পাবেন।

Bootstrap Image Preview