সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অামরা সংবাদপত্র ও মিডিয়ার স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। অামরা এত উন্নয়ন করার পরও অনেকেই নানাভাবে সমালোচনা করেন। অামরা সংবাদপত্র বা মিডিয়ার কাউকে মুখ চেপে বা গলা চেপে ধরিনি। যে কথা কেউ বলতে পারবে না।
বুধবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনাজনিত আহত এবং নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা ভাতা/অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা ভাল, কিন্তু তা বালকের জন্য নয়। স্বাধীনতা যাতে দেশের কল্যাণের আসে সেদিকে নজর রাখতে হবে। এটা যাতে বালখিল্যে পরিণত না হয়।
সাংবাদিকদের আবাসন সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, আমারা ছোট-বড় ফ্ল্যাট করে দিচ্ছি। মাসিক কিস্তিতে সাংবাদিকরা এসব ফ্ল্যাটের মালিক হতে পারবেন। এর আগে পেশাজীবীদের প্লট দেয়া হয়েছিল, সেখান থেকেও সাংবাদিকরা সুবিধা পেয়েছেন।
সংবামাধ্যম বিষয়ে গৃহীত বিভিন্ন নীতিমালার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আমাদের শেষ বেলা। যেগুলো কাজ অসমাপ্ত আছে সেগুলোও দ্রুত শেষ করে যেতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে একটি টেলিভিশন এবং একটি রেডিও পেয়েছি। এরপর অামরা বেসরকারি খাতে টেলিভিশন উন্মুক্ত করে দেই। সংবাদপত্র এবং রেডিও যে যেভাবে চেয়েছে অামরা অনুমোদন দিয়েছি। তারপরও অামি কখনো সংবাদপত্রে বা মিডিয়ায় ভালো প্রচার পাইনি।
তিনি বলেন, শুধু সাংবাদিক নয়। সকল পেশাজীবী মানুষের উন্নয়নে অামরা কাজ করে যাচ্ছি। অামি মনে করি এটা অামার দায়িত্ব ও কর্তব্য। কারণ, বঙ্গবন্ধুও সারাজীবন শুধু মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। অামি খুব কাছে থেকে দেখেছি সাংবাদিকদের জীবন কেমন। তাদের চাকরির কোনো নিশ্চয়তা নেই। বেতনেরও নিশ্চয়তা কম। এ কারণে অামি নিজ উদ্যোগে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করি।