Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দলিত জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক নিরাপত্তা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৩:২৫ PM
আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৩:৫০ PM

bdmorning Image Preview


রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শারি’র আয়োজনে সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক এবং কর্মচারীদের উপস্থিতিতে দলিত সমাজের শীর্ষ নেতা, সমাজকর্মী এবং গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে “সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পসমূহ দলিত জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি ও রাষ্ট্রের করণীয়” বিষয়ে একটি সম্মিলিত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে ইউএনডিপি এইচআরপি’র সহযোগিতায় এবং বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শারি’র আয়োজনে ‘সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পসমূহে দলিত জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি ও রাষ্ট্রের করণীয় শীর্ষক’ একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতমিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক আবু মোহাম্মদ ইউসুফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাংবাদিক আজমল হক হেলাল এবং বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জ্জি, বাংলাদেশ দলিত পঞ্চায়েত ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাজকুমার দাস এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ফারহানা আক্তার। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের মহাসচিব নির্মল চন্দ্র দাস।

সভায় দলিত জনগোষ্ঠীর বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধিভাতা, শিক্ষাবৃত্তি, ভিজিডি/ ভিজিএফ কার্ড, ক্ষুদ্র ঋণ, মাতৃত্ব সেবা, মাতৃত্বকালিন ভাতা এবং সর্বোপরি দলিত জনগোষ্ঠীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং তাদেরকে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতাধীন সকল কর্মসূচীতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের সার্বিক জীবন ব্যবস্থার উন্নয়ন দাবি করেন।

প্রধান অতিথি আবু মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী সবসময় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের সামনে এগিয়ে নিতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আপনারা পরামর্শ দেবেন এবং আমরা পদক্ষেপ নেব। সেই দিন দূরে নয় যখন আমরা সকলে মিলে একটি ভেদাভেদহীন রাষ্ট্র গড়ে তুলবো।

বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জ্জি বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাচিত প্রতিনিধি তাদের দলিত-বেদে কমিউনিটি থেকে বাছাই করতে হবে। নইলে দলিতদের প্রকল্পের টাকা অন্য খাতে ব্যবহার করার চেষ্টা করে কতিপয় মন্ত্রনালয়।

উল্লেখ্য, “জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল পত্র” মতে দলিত জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের অন্যতম জনগোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে। কিন্তু সেই পদক্ষেপকে যথেষ্ট বলে মনে করছেন না আলোচকরা। দরকার ‘বৈষম্য বিলোপ আইন’ তাদের উন্নয়নের লক্ষে শুধু অর্থ বরাদ্দ করলেই হবে না বরং সামাজিক উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলো যেন বাস্তবায়িত হয় সেদিকে নজর দিতে হবে বলেও জানান তারা। এ উদ্দেশ্যে একটি ধারপত্র উপস্থাপন করেন আমরা হরিজন সম্প্রদায় সন্তান সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পঙ্কজ বাসফর।

Bootstrap Image Preview