ডোমারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের বাঁশের সাকোঁ পারাপার

তোজাম্মেল হোসেন, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

নীলফামারীর ডোমারে বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের বয়ে যাওয়া চেকাডারা নদীর বাবুর বান নামক স্থানে বাঁশের সাকোঁয় স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী ও গ্রামবাসীদের ঝুকিঁ নিয়ে চলছে নিয়মিত পারাপার।

সরেজমিনে দেখা যায়, ডোমার উপজেলার কয়েকটি গ্রামের জনসাধারনের উপজেলা সদরের যাতায়াতের একমাত্র পথ নদীর উপরের এই সাকোঁ। যুগের পর যুগ বাঁশের সাকোঁয় চলছে পারাপার। কোন কোন বছর পারাপারের একমাত্র সাকোঁটি বন্যার পানীতে ভেসে যায়। সাকোঁটি নদীর পানিতে ভেসে গেলে, ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।

নদীর তীরে অবস্থিত শিবগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুমি আকতার জানায়,আমরা স্কুল শুরু ও ছুটির সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পারাপারের সময় দুঃচিন্তায় থাকি, কখন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে যায়। ভাঙাচুড়া বাঁশের সাকোঁটি নরবরে হওয়ায় নদীর ওপারের বেশীর ভাগ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, সব ঋতুতেই নদী পারাপার হতে হয়, কখনো কখনো বাশেঁর সেতুটি ভেঙে যায় তখন নদীতে জলে ভিজে পারাপার হই। কোন মূমুর্ষ রোগীর জন্য এম্বুলেন্স বা গাড়ীর প্রয়োজন হলে তখন নদীতে ব্রীজ না থাকার কারনে গ্রামে এম্বুলেন্স বা গাড়ী ঢুকতে পারে না। অনেকদিন ধরে আমরা এই নদীর উপর ব্রীজ নির্মানের দাবী জানালেও ব্রীজ নির্মাণ হয়নি।

এ ব্যাপারে বোড়াগাড়ী ইউ,পি চেয়ারম্যান ও তোফায়েল আহমেদ জানান, এলাকাবাসী ও ছাত্র-ছাত্রীদের কথা চিন্তা ভাবনা করে ডোমার-ডিমলার মাননীয় এমপির সাথে কথা হয়েছে তিনি নদীর উপড়ে দ্রুত ব্রীজ নির্মাণ করার ব্যবস্থা করবেন।

ডোমার উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলৗ আব্দুর রউফ জানান, আমরা চেকাডাড়া নদীর ঘাটে একটি প্রাথমিক জরিপ করে স্থানীয় এমপির সুপারিশসহ কাগজ পত্র উপরে পাঠিয়েছি।