Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিয়ের আশ্বাসে নেপালি ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন; গ্রেফতার চিকিৎসক

নারী ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০১:১১ PM
আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০১:১১ PM

bdmorning Image Preview


লেখাপড়ার সুবাদে ডা. তুহিনের সঙ্গে সিরাজগঞ্জে বেসরকারি নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেপালি এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে ডা. তুহিন ছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাস দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। সম্প্রতি ওই ছাত্রী বিয়ের জন্য চাপ দিলে ডা. তুহিন নানা টালবাহানা শুরু করেন।  পরে এ বিষয়ে ওই ছাত্রী থানায় অভিযোগ করলে ডা. তুহিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।   

গত রবিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে শহরের ধানবান্ধি মহল্লায় ভাড়া বাসা থেকে ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়। তাকে সিরাজগঞ্জ সদর থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত ডা. তুহিন নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের লেকচারার।

জানা যায়, নেপাল থেকে পড়তে আসা চতুর্থ বর্ষের ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী এ ব্যাপারে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর নালিশ করেছেন। এ ঘটনার পরে রবিবার পুলিশ ডা. তুহিনকে শহরের ধানবান্ধি মহল্লার তার ভাড়া বাসা থেকে সিরাজগঞ্জ সদর থানা হেফাজতে নিয়ে এসেছে।

এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. এসএম আকরাম হোসেন তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজের একটি সূত্র থেকে জানা যায়, লেখাপড়ার সুবাদে ডা. তুহিনের সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে ডা. তুহিন ছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাস দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।

সম্প্রতি ওই ছাত্রী বিয়ের জন্য চাপ দিলে ডা. তুহিন নানা টালবাহানা শুরু করেন। গত শুক্রবার দুপুরে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে কলেজে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

পরে ওই ছাত্রী ডা. তুহিনের বাসায় গিয়ে আবারও বিয়ের জন্য চাপ দেন। এ সময় ডা. তুহিন ও তার স্ত্রী ছাত্রীকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেন।

এ ঘটনার পর রবিবার বিকালে আবারও ওই ছাত্রী ডা. তুহিনের বাড়ি গেলে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে।

এ সময় ওই ছাত্রী পুলিশ ও কলেজ অধ্যক্ষকে বিষয়টি অবগত করেন। এর পরই পুলিশ ডা. তুহিনকে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নর্থ বেঙ্গল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন।

এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সদর থানা হেফাজতে ডা. তুহিনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. এসএম আকরাম হোসেন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে সব কিছু জানা যাবে।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত চিকিৎসককে থানায় আনা হয়েছে। মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন। তদন্তের পর কোনো অভিযোগ দেয়া হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Bootstrap Image Preview