Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রান্না ঘরের আড়ায় গলায় ফাঁস অবস্থায় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

খুরশিদ আলম শাওন, রানীশংকৈল (ঠাকুরগাও) প্রতিনিধি 
প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:৪৪ AM
আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:৪৪ AM

bdmorning Image Preview


ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল থেকে খালেদা আক্তারের (২০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। আজ বুধবার সকালে পৌরশহরের মহলবাড়ী গ্রামের ইউনুস আলীর বাড়ী থেকে রান্না ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্বার করা হয়। এদিকে ঐ গৃহবধূর বাবা ফজলু রহমানের দাবি তার মেয়েকে হত্যা করেছে তার স্বামীর পরিবারের লোকজন মিলে।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বিয়ের পর থেকেই তারা আমার মেয়েকে বিভিন্ন অজুহাতে নির্যাতন করে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় কিছুদিন আগেই পারিবারিক ভাবে শালিস করে আমার মেয়েকে তার স্বামীর বাড়ীতে পাঠায়।

তবে ছেলের চাচাতো ভাই মফিজুল ইসলাম এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা কেন তাকে হত্যা করতে যাবো নিজেই অজ্ঞাত কারনে আর্ত্বহত্যা করেছে। তারপরেও পুলিশের মাধ্যমে ময়না তদন্ত হলেই আসল রহস্য বের হয়ে আসবে। দুই পরিবারের এমন বক্তব্য জনমনে প্রশ্ন উঠেছে এটি হত্যা না আর্ত্বহত্যা?

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জরার্জীণ রান্না ঘরের চালার পুরনো এক বাশেঁর সাথে গলায় ফাসঁ অবস্থায় মেয়েটির মরদেহ রয়েছে। পা গুলো খানিকটা মাটিতে ছুই ছুই করছে। পাশেই বসার ছোট একটি টুল মাটিতে রয়েছে।

জানা যায়, ৯ মাস আগে মহলবাড়ী গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে শামীমের(২২) সাথে হরিপুর উপজেলার পূর্ব আমগাঁও(খানকি) গ্রামের ফজলুল হকের অর্নাস পড়ুয়া মেয়ে খালেদা আক্তারের (২০) পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। মেয়ের মামা এনামুল মাষ্টার জানান, কথা অনুযায়ী যৌতুকের তিন লক্ষ টাকাও দেওয়া হয় ছেলে পক্ষকে। তারপরেও তারা আমাদের মেয়েকে বিভিন্ন অুজহাতে নির্যাতন করতো। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা ফজলু বাদী হয়ে রানীশংকৈল থানায় একটি হত্যা মামলার অভিযোগ দেন বলে মেয়ের মামা এনামুল নিশ্চিত করেন।

এ ঘটনাটির তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আজগর আলী বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে এটি হত্যা না আত্মহত্যা সে ঘটনার রহস্যে বেরিয়ে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

Bootstrap Image Preview