Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সন্ধ্যায় শিশু ধর্ষণচেষ্টা , রাতে গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৩:২১ PM
আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৩:২১ PM

bdmorning Image Preview


নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ছয় বছর বয়সের এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা ও পোশাক কারখানার এক কর্মীকে (১৬) ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার সন্ধ্যায় ও রাতে ঘটনা দুইটি ঘটে।

পরদিন মঙ্গলবার সকালে নির্যাতনের শিকার ঐ গার্মেন্টস কর্মীকে এক গ্রামপুলিশের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নান্দাইল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রামপুলিশসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আর শিশু নির্যাতনের ঘটনায় পরিবারের লোকজন থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেছে।

নির্যাতনের শিকার ঐ তরুণীর পরিবারের লোকজন জানান, উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের গার্মেন্টসকর্মী বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) কর্মস্থল থেকে ছুটি পেয়ে নানীর বাড়িতে বেড়াতে যায়। রবিবার রাতে মেয়েটির পূর্ব পরিচিত উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের অরণ্যপাশা গ্রামের রাজু আহমেদ (২৫) মেয়েটিকে ডেকে গ্রামপুলিশ সদস্য রুবেল মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যায়। রাজু সেখানে মেয়েটিকে ফাঁদে ফেলে একাধিকবার ধর্ষণ করে ওই বাড়িতে আটকে রাখে। সেখানে রাজুকে সহযোগিতা করে আরো চারজন।

এ ঘটনায় রাজু আহমেদ ছাড়াও জুয়েল ওরফে রাসেল(২২),সাইফুল ইসলাম(২২), গ্রাম পুলিশ রুবেল মিয়া(২৫) ও রানা মিয়া(২২)কে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা হয়েছে।

এ দিকে ছয় বছর বয়সের শিশুটির বাড়ি নান্দাইল সদর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে।

শিশুটির পরিবারের লোকজন জানান, সোমবার সন্ধ্যায় শিশুটিকে পড়ানোর কথা বলে নিজবাড়িতে নিয়ে যায় পাশের প্রতিবেশী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের মো. আব্দুল হক (৫৫)। কিছুক্ষণ পর ওই বাড়ি থেকে শিশুর চিৎকার ভেসে এলে প্রতিবেশীরা সেখানে গিয়ে নির্যাতনের ঘটনাটি জানাজানি হয়। পরে ঘটনাটি মীমাংসা করার জন্য গভীর রাত অবধি একটি চক্র চেষ্টা চালায়। কিন্তু মেয়ের বাবা কোনো মীমাংসা না মেনে মঙ্গলবার দুপুরে শিশুটিকে নিয়ে থানায় যান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নান্দাইল মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

নান্দাইলে থানার উপপরিদর্শক মো. আবদুস ছাত্তার বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

Bootstrap Image Preview