Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

তিস্তার পানি বৃদ্ধি, আতঙ্কে পাড়ের লোকজন

আসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহাট প্রতিনিধি 
প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৬:৪৮ AM
আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৬:৪৮ AM

bdmorning Image Preview


ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা ও সানিয়াজান নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাট জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। তিস্তার পানিতে  প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকে নদী গুলোর পানি বাড়তে শুরু করে। হাতিবান্ধায় অবস্থিত তিস্তাা ব্যারেজ দোয়ানী পয়েন্টে সোমবার রাতে বিপদ সীমার ১৫ সেঃ মঃ উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে থাকে।   

পাউবো সূত্র জানায়, তিস্তা পাড়ের লোক জনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভারত গজল ডোবা ব্যারেজের অধিকাংশ গেট খুলে দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই ঘর বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছে। প্রচন্ড গতিতে পানি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। আরও কি পরিমাণ পানি আসবে তা ধারনা যাচ্ছে না। পানি গতি নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেটই খুলে দেয়া হয়েছে। ফলে তিস্তার পানিতে বহুল আলোচিত ছিটমহল আঙ্গোরপোতা- দহগ্রামসহ জেলার ২০ গ্রামের ১০ হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। কয়েক হাজার একর আমন ধানের ক্ষেতসহ অনেক ফসলী ক্ষেত তিস্তার পানিতে ডুবে গেছে। হাতিবান্ধা উপজেলার ধুবনী গ্রামে ভেসি বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। এ বাধঁ ভেঙ্গে গেলে তিস্তার পানি হাতিবান্ধা শহরে ঢুকে পডবে। ইতোমধ্যে চর এলাকা গুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে গেছে।  

সুত্র জানায়, তিস্তা পানি আরও বৃদ্ধি পেলে তিস্তা ব্যারেজ রক্ষার্থে পাউবো ‘ফ্লাড বাইপাস’ কেটে দিতে পারে। এ বাধঁ কেটে দিলে গোটা লালমনিরহাট জেলার  লক্ষাধিক পরিবার পানি বৃন্দি হয়ে পড়বে। এতে কোটি কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতি হবে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড দোয়নীর নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী জানান, ভারতের গজল ডোবা ব্যারেজের গেট খুলে দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

Bootstrap Image Preview