Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

'দেশে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করবে জিনোম সিকোয়েন্স'

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০২:২১ PM
আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০২:২১ PM

bdmorning Image Preview


বাকৃবি প্রতিনিধিঃ

'বিশ্বে প্রথম বারের মতো ইলিশের পুর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স বা জীবনরহস্য উদঘাটন দেশের জন্য একটি বড় পাওয়া। এই জিনোম সিকুয়েন্স ব্যবহার করে দেশের এবং বিদেশের বিজ্ঞানিরা ইলিশের বৈশিষ্ট নিয়ে গবেষণা করতে পারবে। যেহেতু ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ এবং বিশ্বের মোট ৬০ ভাগ মাছ বাংলাদেশে পাওয়া যায়। জিনোম সিকুয়েন্স ব্যবহার করে এদের বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রনকারী জিনগুলো নিয়ে পরবর্তিতে আরও গবেষণা করে দেশে ইলিশের টেকসই আহরণ এবং উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।'

সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার সময় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে ‘প্রথমবারের মত ইলিশের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকেয়েন্সিং এবং ডি নোভো এসেম্বলি সম্পন্ন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর। পড়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ইলিশের ওই জীবনরহস্য উন্মোচনের বিষয়টি ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জীবনরহস্য উম্মোচনের মাধ্যমে ইলিশ গবেষণার একটি প্রশস্ত দরজা খুলে গেলে। তবে এটি জানতে ও বুঝতে আমাদের আরো সময় লাগবে। এ থেকে সুফল পেতে আরো ধারাবাহিক গবেষণা প্রয়োজন। ইলিশ রক্ষায় অনেক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে যেমন অভাশ্রয়ম প্রতিষ্ঠা, নির্দিষ্ট সময়ে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা ইত্যাদি এটা সঠিক সময়ে সঠিক স্থানে হচ্ছে কি-না, ইলিশ সাগর থেকে নদীতে কেন আসে, আবার প্রজননের পর আদৌ সাগরে ফিরে যায় কি-না এমন অনেক তথ্যই আমরা আবিষ্কৃত জিনোম সিকোয়েন্স থেকে জানতে পারবো যা ইলিশের টেকসই আহরণ এবং উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।

বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম এ এম ইয়াহিয়া খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জসিমউদ্দিন খান, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ।

এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক ও গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মো. সামসুল আলম ও সহযোগী গবেষক অধ্যাপক ড. মো. বজলুর রহমান মোল্যা।

Bootstrap Image Preview