Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

গড় লেনদেন বেড়ে ৩০.৭৪ শতাংশে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:৫৫ AM
আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:৫৫ AM

bdmorning Image Preview


দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ৩০.৭৪ শতাংশে এসেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের। গত সপ্তাহে সূচকের মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে। পাশাপাশি মোট লেনদেনও বেড়েছে। গত সপ্তাহে চার কার্যদিবস লেনদেন হলেও দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে। বাজার মূলধন বেড়েছে দশমিক শূন্য তিন শতাংশ।

আগের সপ্তাহে জš§াষ্টমির ছুটির কারণে মাত্র চার কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। লেনদেন বেড়েছে চার দশমিক ৬০ শতাংশ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে চার কার্যদিবসের মধ্যে দুদিন সূচক কমেছে, বেড়েছেও দুদিন।

মোট লেনদেন আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। ডিএসইএক্স ও ডিএসই৩০ সূচক নেতিবাচক হলেও ইতিবাচক ছিল ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক। সিএসইতে সূচকে মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন হয়।

গেল সপ্তাহে ডিএসইতে মোট টার্নওভার বা লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় তিন হাজার ৫৩ কোটি ৮৭ লাখ ৬৯ হাজার ৫৬৬ টাকা। আগের সপ্তাহে যা ছিল দুই হাজার ৯১৯ কোটি ৭০ লাখ ৯৪ হাজার ৩৩৫ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টার্নওভার বেড়েছে ১৩৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা বা চার দশমিক ৬০ শতাংশ।
ডিএসইতে গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার বাজার মূলধন ছিল তিন লাখ ৯৬ হাজার ২২৬ কোটি ১০ লাখ টাকা। শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ ছিল তিন লাখ ৯৬ হাজার ৩৫৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে দশমিক শূন্য তিন শতাংশ বা ১৩১ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৬ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৭ শতাংশ কমে পাঁচ হাজার ৬৭৪ দশমিক ২৫ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ৯ দশমিক শূন্য পাঁচ পয়েন্ট বা দশমিক ৭১ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ২৭৮ দশমিক ৬৬ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসই৩০ সূচক দুই দশমিক ১৯ পয়েন্ট বা দশমিক ১১ শতাংশ কমে এক হাজার ৯৫৮ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে স্থির হয়। মোট ৩৪৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়।

এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৮টির, কমেছে ২১৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৫ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হয়নি পাঁচটির। দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৭৬৩ কোটি ৪৬ লাখ ৯২ হাজার ৩৯২ টাকা। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৫৮৩ কোটি ৯৪ লাখ ১৮ হাজার ৮৬৭ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ১৭৯ কোটি ৫২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বা ৩০ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ডিএসইর টপ টেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে জ্বালানি খাতের খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির দর ২৯ দশমিক ৯১ শতাংশ বেড়েছে। তালিকায় এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা বিএসসিসিএলের দর ২১ দশমিক ১৬ শতাংশ, কনফিডেন্স সিমেন্টের দর ১৬ দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়েছে। ইনটেক অনলাইনের দর ১৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ এবং নাহি অ্যালুমিনিয়ামের দর ১৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া ওইম্যাক্স ইলেকট্রোডের ১৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের ১৩ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ, মেঘনা সিমেন্টের ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ ও সামিট পাওয়ারের দর ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেড়েছে।

অন্যদিকে ২১ দশমিক শূন্য এক শতাংশ কমে সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে অবস্থান করে সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ। রংপুর ডেইরি ফুড প্রোডাক্টের ১৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ, এইচআর টেক্সটাইলের ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ডের ১১ দশমিক শূন্য এক শতাংশ, ইমাম বাটনের ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ, এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ, গ্রীন ডেল্টা মিউচুয়াল ফান্ডের ১০ দশমিক ৪৭ শতাংশ, প্রাইম টেক্সটাইলের ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ ও তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেড়েছে।

ডিএসইতে টার্নওভারের দিক থেকে শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো: খুলনা পাওয়ার, বিবিএস কেব্লস, কনফিডেন্স সিমেন্ট, আমান ফিড, দি পেনিনসুলা চিটাগং, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, অ্যাকটিভ ফাইন, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট ও সামিট পাওয়ার।

অন্যদিকে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৮০ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৭টির, কমেছে ১৭০টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৩টির দর।
সিএসইতে গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স কমেছে দশমিক ১৫ শতাংশ। এছাড়া সিএএসপিআই সূচক কমেছে দশমিক ২৩ শতাংশ, সিএসই৫০ সূচক কমে দশমিক ৫০ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক দশমিক ৯০ শতাংশ বেড়েছে। সিএসই৩০ সূচক বেড়েছে ৫৮ শতাংশ।সিএসইতে গেল সপ্তাহে টার্নওভারের পরিমাণ দাঁড়ায় ১২৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। যা আগের সপ্তাহে ছিল মাত্র ২০৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। লেনদেন কমেছে ৭৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

৩২ দশমিক ৬২ শতাংশ বেড়ে সিএসইতে সাপ্তাহিক টপ টেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে খুলনা পাওয়ার। এর পরের অবস্থানগুলোয় ছিল বিএসিসিএল, ইনটেক অনলাইন, কনফিডেন্স সিমেন্ট, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স, ওইম্যাক্স ইলেকট্রোড, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, মেঘনা সিমেন্ট, ইস্টার্ন হাউজিং ও সামিট পাওয়ার।

অন্যদিকে টপ টেন লুজার তালিকায় উঠে আসে এইচআর টেক্সটাইল, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্ট, প্রাইম টেক্সটাইল, এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ, বিডি ওয়েল্ডিং, সমতা লেদার, নর্দার্ন জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, সুহƒদ ইন্ডাস্ট্রিজ, ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল খুলনা পাওয়ার, সামিট পাওয়ার, বেক্সিমকো লিমিটেড, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, বসুন্ধরা পেপার মিলস, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, বিবিএস কেব্লস, বিএসসিসিএল, দি পেনিনসুলা চিটাগং ও বারাকা পাওয়ার।

Bootstrap Image Preview