Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

শিক্ষার্থীদের দাবিতে রাজধানীতে চালু হচ্ছে ‘ইন্টেলিজেন্ট ট্রাফিক সিস্টেম’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ আগস্ট ২০১৮, ০৮:৩১ PM
আপডেট: ১২ আগস্ট ২০১৮, ০৮:৩১ PM

bdmorning Image Preview


বিডিমর্নিং ডেস্ক-

শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের দাবির মুখে রাজধানীতে ‘ইন্টেলিজেন্ট ট্রাফিক সিস্টেম’ চালু করা হচ্ছে। এটি চালু হলে চলমান গাড়ির সংখ্যা কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করা এবং পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরাতে কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।  

 

আজ রবিবার দুপুরে হোটেল সোনারগাঁওয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্মল বায়ু ও টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প (কেইস) আয়োজিত ‘ক্লিন অ্যান্ড সেইফ মোবিলিটি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এ তথ্য জানান।

মেয়র খোকন বলেন, প্রকল্পের আওতায় মহানগরীর ফুলবাড়িয়া, পল্টন, মহাখালী ও গুলশান-১-এ চারটি ইন্টারসেকশন নির্মিত হবে। এতে ভিডিও ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে চলমান গাড়ির সংখ্যা কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং হবে। এ ছাড়া ডিএসসিসির ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ৭৫ জন নিয়ে একটি কারিগরি ইউনিট সৃষ্টির প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। রাজধানীর পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরাতে যত দ্রুত সম্ভব বাসরুট ফ্রাঞ্জাইজি-ভিত্তিক হবে। অর্থাৎ ছয় কোম্পানির অধীনে বাস চালানোর ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

সাঈদ খোকন বলেন, বাসরুট ফ্রাঞ্জাইজি করলে সেটি হতে পারে নিরাপদ সড়কের জন্য একটি কার্যকর উদ্যোগ। তিনি ডিএসসিসি এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে জরুরি কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, এগুলোর মধ্যে রয়েছে- নিরাপদ সড়ক সৃষ্টি করা, বেপরোয়া গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকা, রাস্তা পারাপারে ফুটওভার ব্রিজ ও জেব্রাক্রসিং ব্যবহারে উৎসাহিত করা, বিনা প্রয়োজনে হর্ণ বাজানো নিরুৎসাহিত করা, পথচারী চলাচলে ফুটপাত ব্যবহার করা, লেন মেনে গাড়ি চলানো, যত্রতত্র যাত্রী ওঠা-নামা না করে নির্ধারিত স্টপেজে গাড়ি থামানো। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ৯২টি সড়ক ইন্টারসেকশনে জেব্রাক্রসিং, লেন সেপারেটর ডট ও ২৯৪টি পথচারী পারাপার নির্মাণসহ ৬০০টি ট্রাফিক সাইন লাগানো হবে। স্লোগান হবে- ‘আমাদের পথ, আমাদের হাতেই নিরাপদ’।

মেয়র ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিল্লাল, কলামিস্ট আবুল মকসুদ, নগর পরিকল্পনাবিদ মোবাশ্বর হোসেন, ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক রকিবুল রহমান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই কুর্মিটোলায় জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মীম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব নিহত হন। এ ছাড়া আহত হন বেশ কয়েকজন।

এ ঘটনার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এরপর তাদের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরই মধ্যে ওই কলেজশিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচটি বিশেষ বাস দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে নিহত দুজনের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে দেয়া হয়েছে। আর জাবালে নূর পরিবহনের রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview