Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাংলাদেশে আলুর উৎপাদন চতুর্থ স্থানে: কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৩:০৯ PM
আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৪:৩০ PM

bdmorning Image Preview


কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশে আলুর উৎপাদনে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। ধান, গম ও ভুট্টার পরেই আলুর উৎপাদিত হয়।

সোমবার কৃষিমন্ত্রীর সাথে সচিবালয় তার অফিসকক্ষে আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্রের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সমন্বয়কারী ও কান্ট্রি ম্যানেজার ড. ইউ এস সিং সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন। এ সময় কৃষি সচিব মো: নাসিরুজ্জাম উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে কৃষি উৎপাদনের দিক থেকে ধান, গম ও ভুট্টার পরেই চতুর্থ স্থানে আছে আলু। অনুকূল আবহাওয়া ও মটির কারণে কিছু জেলায় আলুর প্রায় ৩০টি জাতের চাষ ব্যাপকভাবে হয়ে থাকে। বিগত বছরে আলুর উৎপাদন আমাদের চাহিদার চেয়ে প্রায় ৩০ লাখ মে. টন বেশী হয়েছে। লেইট ব্লাইট রোগের নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে আমরা প্রবেশ করতে পারছি না। যদিও বাংলাদেশ থেকে অনেক কৃষিজাত পণ্য বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে।
    
সিঅাইপি প্রতিনিধি বলেন, মিষ্টি আলু বেশ সুস্বাধু এবং এর উৎপাদনও ভালো।

এ সময় কৃষি সচিব প্রতিনিধিদলকে জানান, আমাদের দেশে মিষ্টি আলু গ্রামে বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশকে আলুর আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে হলে তাদের চাহিদা অনুযায়ী নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করতে হবে। এদেশে আলুর উৎপাদন ভালো তবে প্রক্রিয়াজাতের জন্য তেমন উপযোগী নয়। এর জন্য চিপস ও ফ্রাঞ্চ ফ্রাইসহ অন্যান্য খাদ্য তৈরির জাত উদ্ভাবন করতে হবে। ভারতে স্বল্প সময়ে আহরণ উপযোগী আলুর জাত রয়েছে। এ সময় তারা আলুর টিস্যূ কালচার ও স্ট্যাম্প কাটিং এর কিছু নমুনা তুলে ধরেন।

কৃষি সচিব বলেন, আমাদের বিজের চাহিদা ৬ লাখ মে. টন এর মধ্যে বিএডিসি টিস্যূ উৎপাদন করে ১ লাখ মে. টন। বাকি বীজ আমাদের দেশের কৃষকরা উৎপাদন করে। যদিও আমাদের আলুর জন্য জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনইস্টটিউট (বারি)তে ল্যাব রয়েছে।

এছাড়াও বিএডিসি’র টিস্যূ কালচার ল্যাবে বিজ উৎপন্ন করে থাকে। এছাড়া আমাদের দেশে কৃষকরা লাভবান ফসল উৎপাদনে বরাবরই আগ্রহী যেমন হানি মেলন আমাদের কাছে বিদেশি ছিল এখন দেশে যশোরের কিছু এলাকায় চাষ হচ্ছে।
 
মন্ত্রী আরও বলেন, কৃষিখাতের জন্য টাকার কোন সমস্যা নেই। আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই, কিভাবে আলুর উন্নয়ন করে এর প্রক্রিয়াজাত করে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করা যায়। প্রতিনিধিদলের নেতৃবৃন্দ এখাতে বাংলাদেশকে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বাংলাদেশ ও সিআইপি সমন্বয় করে যৌথভাবে সমস্যার সমাধান করে এখাতের আরও উন্নয়ণ করতে চায়। সিআইপ’র দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সমন্বয়কারি এবং কান্ট্রি ম্যানেজার সাথে আরও বৈঠকে বসে এই খাতের উন্নয়নে করণিয় সম্পর্কে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে চান মন্ত্রী।

প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন ড. শ্যামরেন্দ্র মহান্টি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনইস্টটিউট (বারি)ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. লুৎফুল হোসেন।

Bootstrap Image Preview