জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। একই সঙ্গে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে এলেঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে লতিফ সিদ্দিকীর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, লতিফ সিদ্দিকী একজন নাস্তিক। হজ ও তাবলিগ নিয়ে কটূক্তি করে কালিহাতীর জনগণকে লজ্জিত করেছেন তিনি। কালিহাতীর মানুষ তাকে আর এ মাটিতে দেখতে চায় না। তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন জোরপূর্বক সাধারণ মানুষের জায়গা জমি জবর-দখল করেছেন। ওই জবর-দখলের ক্ষোভে রোববার কালিহাতীর পশ্চিমাঞ্চলে নির্বাচনী প্রচারণায় গেলে স্থানীয় সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে তার গাড়িবহরে হামলা চালায়। ওই হামলার ঘটনাটি আওয়ামী লীগের ওপর চাপিয়ে দেয়ার অপপ্রচার চালানোর জন্য টাঙ্গাইল জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছেন তিনি। এর প্রতিবাদে লতিফ সিদ্দিকীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক ভূঁইয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল জলিল, জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খাদেমুল ইসলাম মাস্টার, এলেঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মোল্লা, বাংড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখলেছুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি নুরুন্নবী সরকার, সহ-সভাপতি বেলাল হোসেন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মোল্লা প্রমুখ। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের কয়েক সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, লতিফ সিদ্দিকীর গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানা পুলিশের ওসি মীর মোশারফ হোসেনকে প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন। রবিবার দুপুর আড়াইটা থেকে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘটে বসেন।