জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলমান রাখা ও দূর্নীতির প্রতিরোধ করার অঙ্গিকার জাতির সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছু নয় বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগ। সোমবার দুপুরে ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যারয়ে দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের একথা বলেন দলটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলমান রাখা ও দূর্নীতি রোধ করার অঙ্গিকারের বিষয়টি কিভাবে দেখছে জানতে চাইলে আব্দুর রহমান বলেন, ২৩ জনের অধিক ব্যক্তি যুদ্ধাপরাধীদের উত্তসুরীদের নিয়ে তারা ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছে। যুদ্ধাপরাধীরা ঐক্যফ্রন্টের আশ্রয় প্রশ্রয়েই আছে। সুতরাং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তারা করবে এটা অত্যন্ত হাস্যকর ব্যপার ও অবিশ্বাস্য।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি দৃড়ভাবে বিশ্বাস করে যারা যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে মনোনয়ন দিয়েছে, তারা কি করে এই যুদ্ধাপরাধিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে? এটা জনগনের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না।
জাতিকে বিভ্রান্ত করে এই ইশতেহারের মাধ্যমে ভোটারদের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্ট তামাশা করছে বলেও দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, তারেক জিয়া দূর্নীতির দায়ে দন্ডিত। খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন হাওয়া ভবন তৈরি করে দূর্নীতির আখড়া তৈরি করেছিল। খালেদা জিয়া নিজে দূর্নীতির দায়ে দন্ডিত। তাদের মুখে দূর্নীতি মুক্ত সমাজ গড়ার কথা ভুতের মূখে রাম নাম।
দেশের মানুষ কোন ভাবেই বিশ্বাস করে না যে তারা দূর্নীতি দূর করবে, এটা ভোটের রাজনীতিতে অবস্থান তৈরি করার জন্য মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপকৌশল মাত্র। তাদের ইশতেহার রাজনৈতিক অপকৌশলের ইশতেহার। মানুষের সঙ্গে তামাসা করার জন্য এই ধরণের ইশতেহার তারা দিয়েছে।
আব্দুর রহমান বলেন, ড. কামাল হোসেন নির্বাচন না হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশের মধ্য দিয়ে আমাদের কাছে পরিস্কার হলো, এই নির্বাচনকে বানচালের নানা চক্রান্তের জাল বুনছে তারা। যারা নির্বাচন বানচালের চক্রান্তে আছেন তাদেরকে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলতে চাই। যে কোন মূল্যে আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা নিজেরাই ঘটিয়েছে, তাদের মনোনয়ন বানিজ্যের বিক্ষোব্ধ নেতা কর্মীরা বিএনপি নেতাদের উপর হামলা চালাচ্ছে এর দায় ভার, দোষ আমাদের উপর চাপানোর চেষ্টা করে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা তারা চালিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং আমরা দেশ বাসীকে জানাতে চাই, নির্বাচন সফল ভাবে সম্পন্নের জন্য আমরা যেমন প্রস্তুত বাংলাদেশের মানুষও প্রস্তুত। সারা দেশে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিার জনপ্রিয়তা, উন্নয়ন অর্জনের কারণে আবারও শেখ হাসিনাকে দেশের জনগন ক্ষমতায় আনবে জনগনের এমন আকাঙ্খার প্রতিফলন ৩০ ডিসেম্বর হতে যাচ্ছে। এই আশঙ্কা, দুশ্চিন্তা থেকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন।