Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ঐক্যফ্রন্টের

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০১:৩৫ PM
আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০১:৩৫ PM

bdmorning Image Preview


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষম্পতায় এলে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অব্যাহত রাখবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলের হোটেল পূর্বাণী ইন্টারন্যাশনালে সংবাদ সম্মেলন করে এই প্রতিশ্রুতিসহ ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। ইশতেহার ঘোষণা করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

ইশতেহারে বলা হয়, নির্বাচনে জিতলে সব নাগরিকের কল্যাণে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আমূল পরিবর্তন আনা হবে প্রতিহিংসার রাজনীতি দূরীকরণ, নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা ও বিকেন্দ্রীকরণ, দুর্নীতি দমন ও সুশাসনসহ ১৪টি খাতে।

ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়, তারা ক্ষমতায় এলে পরপর দুই মেয়াদের বেশি একজন প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না- এমন ব্যবস্থা করবে। আর পুলিশ ও সামরিক বাহিনী ছাড়া সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা রাখবে না তাদের সরকার।

এছাড়া সরকারি চাকরিতে শুধু অনগ্রসর জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটাব্যবস্থা আরাখার কপ্তহে বলা হয়েছে। 

শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম ও তাদের কর্মসংস্থান, জনগণের চাহিদা এবং একটি ইনক্লুসিভ সমাজ গঠনের জন্য নিজেদের পরিকল্পনা ও ভাবনাগুলো স্থান পায় ইশতেহারে।

এর আগে বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ইশতেহার ঘোষণার মঞ্চে উঠেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। এর পর শুরু হয় ইশতেহার ঘোষণা। ড. কামালের পক্ষে লিখিত ইশতেহার পাঠ করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

এর আগে জোটের পক্ষ থেকে প্রথম দফায় নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এবং ডিসেম্বরের ৮ তারিখে ইশতেহার ঘোষণার কথা বললেও পরে তা স্থগিত করা হয়নি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, ড. রেজা কিবরিয়া প্রমুখ।

ইশতেহার তৈরির জন্য ঐক্যফ্রন্ট ৬ সদস্যের একটি কমিটি করে দেয়। কমিটিতে বিএনপি থেকে সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, গণফোরাম থেকে আ ও ম শফিকউল্লাহ, নাগরিক ঐক্য থেকে ডা. জাহেদ উর রহমান, জেএসডি থেকে শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের অধ্যক্ষ ইকবাল সিদ্দিকী এবং ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে রাখা হয়।

Bootstrap Image Preview