Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার: সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা থাকবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০১:৩৪ PM
আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০১:৩৪ PM

bdmorning Image Preview
ছবি: সংগৃহীত


আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বহুল প্রত্যাশিত ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ১৪টি প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি কিছু চমকও রাখা হয়েছে এ ইশতেহারে। শিক্ষিত ও তরুণ প্রজন্মের ভাবনা এবং তাদের চাহিদার বিষয়গুলো স্থান পেয়েছে ইশতেহারে। দেয়া হয়েছে চাকরি ও কর্মসংস্থান নিয়ে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি। ইশতেহারে বলা হয়েছে-পুলিশ ও সামরিক বাহিনী ছাড়া চাকরিতে প্রবেশের জন্য কোনো বয়সসীমা থাকবে না।

সোমবার রাজধানীর হোটেল পূর্বাণী ইন্টারন্যাশনালে এ ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। ইশতেহার ঘোষণার আগে বক্তব্য দেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।

ইশতেহারে বলা হয়েছে, নির্বাচনে পরাজিতদের মতামত নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালিত করা হবে। দেশের মালিকানা থাকবে জয়ী দলের পাশাপাশি পরাজিত দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের।

কোটাব্যবস্থা নিয়ে বলা হয়েছে-সরকারি চাকরিতে শুধু অনগ্রসর জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটাব্যবস্থা থাকবে। আর কোনো কোটা থাকবে না।

খসড়া ইশতেহারে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর ও কোটাব্যবস্থার পুনর্বিন্যাসের প্রতিশ্রুতি থাকার কথা থাকলেও পরে তা বাতিল করা হয়।

শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম ও তাদের কর্মসংস্থান, জনগণের চাহিদা এবং একটি ইনক্লুসিভ সমাজ গঠনের জন্য নিজেদের পরিকল্পনা ও ভাবনাগুলো স্থান পায় ইশতেহারে।

বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ইশতেহার ঘোষণার মঞ্চে উঠেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। এর পর শুরু হয় ইশতেহার ঘোষণা। ড. কামালের পক্ষে লিখিত ইশতেহার পাঠ করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, ড. রেজা কিবরিয়া প্রমুখ।

ইশতেহার তৈরির জন্য ঐক্যফ্রন্ট ৬ সদস্যের একটি কমিটি করে দেয়। কমিটিতে বিএনপি থেকে সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, গণফোরাম থেকে আ ও ম শফিকউল্লাহ, নাগরিক ঐক্য থেকে ডা. জাহেদ উর রহমান, জেএসডি থেকে শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের অধ্যক্ষ ইকবাল সিদ্দিকী এবং ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে রাখা হয়।

Bootstrap Image Preview