টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফ সিদ্দিকীর গাড়ি বহরে হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে।
রবিবার সকালে উপজেলার গোহালিয়া ইউনিয়নের সরাতৈল এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে তিনি জেলা রিটার্নিং কর্মকতা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন সেই দুপুরে।
প্রথমে বেড, কাঁথা, বালিশ বিছিয়ে বসে পড়েন আওয়ামী লীগের সাবেক এই মন্ত্রী। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলেও একটুও নড়েননি তিনি। বরং তাঁবু গেঁড়ে, লেপ নিয়ে রাত্রিযাপনের সব প্রস্তুতি সেরে শুয়ে পড়েছেন তিনি। স্থান ছাড়বেন না দাবি আদায় না হওয়া অব্দি।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সামনে গিয়ে দেখে যায়, রাতে থাকার জন্য ডিসি অফিসের সামনের রাস্তায় তাঁবু টাঙানো হয়েছে। আর ভেতরে মাটিতে পাটি ও তোষক বিছানো হয়েছে। প্রচণ্ড শীতের কারণে সেখানে লেপ গায়ে দিয়ে শুয়ে রয়েছেন লতিফ সিদ্দিকী।
লতিফ সিদ্দিকীর বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে আমার বিজয় নিশ্চিত জেনে বর্তমান সংসদ সদস্য হাসান ইমান খানের সমর্থকরা আমার গাড়িবহরে হামলা চালায়। যাতে আমি নির্বাচন থেকে সরে যাই। কিন্তু আমি তো আওয়ামী লীগের বাইরে নই। বর্তমান এমপি সোহেল হাজারীর কারণে আওয়ামী লীগের যে সুনাম এ আসনে ক্ষুণ্ণ হয়েছে তা দূর করতেই সাধারণ মানুষ আমাকে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য করেছে। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেনকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমি এখানেই অবস্থান ধর্মঘট পালন করবো।
লতিফ সিদ্দিকী আরো বলেন, কালিহাতীতে সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে তার কর্মী-সমর্থকদের পুলিশ ফোন করে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। সরকার দলীয় প্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকরা নিয়মিত নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যাচ্ছেন। ইতোপূর্বে আমি তিনটি পৃথক লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা কোনো ব্যবস্থাই নেননি।