দেশে পাওয়া যাচ্ছে হুয়াওয়ে মেট ২০ প্রো

বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে হুয়াওয়ের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ফ্লাগশিপ স্মার্টফোন মেট ২০ প্রো। দাম পড়বে ৮৯ হাজার ৯৯০ টাকা।

এর আগে গত ১৮-২৫ নভেম্বর, ২০১৮ পর্যন্ত বছরের আলোচিত এ ফোনটির প্রি-বুকিং চলে। সেখানে গ্রাহকের অভূতপূর্ব সাড়া পায় হুয়াওয়ে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের দুইদিন আগেই স্টক শেষ হয়ে যায়।

তখন অনেকের চাহিদা পূরণ করতে পারেনি হুয়াওয়ে। এবার সবার কথা মাথায় রেখে আবার ফিরে এসেছে হুয়াওয়ে মেট ২০ প্রো।দেশব্যাপী হুয়াওয়ের নির্ধারিত ব্যান্ডশপগুলো থেকে গ্রাহকরা কিনতে পারবেন এ স্মার্টফোনটি।

গত ১৬ অক্টোবর লন্ডনে ও ২৬ অক্টোবর চীনের সাংহাইয়ে বেশ জমকালো অনুষ্ঠানে উন্মোচিত হয় মেট সিরিজের ফোন মেট ২০ প্রো। ফোনটির বিশেষত্ব হচ্ছে এটি নিজস্ব প্রসেসর কিরিন ৯৮০ চিপসেট এ তৈরি। আর প্রসেসরটি তৈরি করা হয়েছে অত্যাধুনিক ৭ ন্যানোমিটার প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

মেট ২০ প্রো ফোনে থাকছে ৪২০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। আছে অত্যাধুনিক লাইকা ট্রিপল লেন্স ক্যামেরা। যার একটি ৪০ মেগাপিক্সেল, একটি ৮ মেগা পিক্সেলের টেলিফটো এবং অন্যটি ২০ মেগাপিক্সেলের আলট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স ক্যামেরা।

বংলাদেশে মেট ২০ প্রো নিয়ে আসা উপলক্ষে হুয়াওয়ে কনজ্যুমার বিজনেস গ্রুপের (বাংলাদেশ) কান্ট্রি ডিরেক্টর কেলভিন ইয়াং বলেন, “আমরা বাংলাদেশের বাজারে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সাড়া পেয়েছি। কিন্তু সীমিত স্টকের কারণে প্রি-বুকিংয়ে অনেক গ্রাহকের কাছে ফোনটি পৌঁছে দিতে পারিনি। এখন সবার চাহিদা পূরণে ফোনটি সবখানে উন্মক্ত করে দেওয়া হয়েছে। আশা করি, মেট ২০ প্রো ব্যবহারে গ্রাহকরা প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের অভিজ্ঞতা পাবেন।”

আনটুটু’র বেঞ্চমার্কের রেটিং এ বিশ্বের শীর্ষ দশটি ফোনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ফোনটি। জানা যায়, সর্বশেষ সংস্করণের অ্যান্ড্রয়েড ৯ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে স্মার্টফোনটিতে। এছাড়া এই ফোনটি দিয়ে মাত্র আড়াই সেন্টিমিটার দূরত্বেও স্বচ্ছ ছবি তোলা যাবে। এ ডিভাইসের ক্যামেরা শুধু ছবি তোলার জন্যই নয়, বিভিন্ন তথ্য দিয়েও সহযোগিতা করবে।

দ্রুত চার্জের সুবিধা ছাড়াও তারবিহীন সুপার রিচার্জের সুবিধা রয়েছে। রিভার্স রিচার্জিং সিস্টেমের মাধ্যমে চার্জ ফুরিয়ে গেলে অন্য আরেকটি মেট ২০ প্রো হ্যান্ডসেটের পাশে ধরেই রিচার্জ করা যাবে। এছাড়া মেট ২০ প্রো থেকে অন্য ফ্লাগশিপ ফোনকেও রিচার্জ করা যাবে। এ স্মার্টফোনে অ্যাপ লক প্রযুক্তি রয়েছে যাতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেইসের সাহায্যে খোলা যায়।