Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

গুলির আগে ওসিকে নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন খোকন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:৩৯ PM
আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:৩৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


নোয়াখালী সোনাইমুড়ী বাজারে আওয়ামী লীগ-বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও তার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) রুবেল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

পুলিশের গুলিতে আহত হওযার আগে সকালে সাংবাদিক সম্মেলনে ওসির বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য রাখেন নোয়খালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ী) আসনের বিএনপির এই এমপি।

এ সময় তিনি বলেন, ওসি সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্টের বিজ্ঞ বিচারপতিকেও মানে না। বিএনপির নেতাকর্মীরা হাইকোর্ট থেকে জামিন আনলে ওসি তাদেরকে গ্রেফতার করে। এ আসনে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগ যুবলীগের কর্মীরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও গ্রেফতার করে না।

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আমার নির্বাচনী আসনে সার্বিকভাবে মনে হচ্ছে, এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কর্মীরা ভোট চাচ্ছে না। তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের এলাকায় গণসংযোগ, প্রচারণা, পথসভা ও কেন্দ্রে না যেতে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। গত কয়েক দিন আগে জয়াগ বাজার ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার করতে গেলে ৪টি মাইক আওয়ামী লীগ যুবলীগের কর্মীরা মাইক, বাজারে বিএনপির সমর্থিত ১০-১২টি দোকান ভাঙচুর করে।

শনিবার সকাল ১১টায় নোয়াখালী বার আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে জেলা ৬টি নির্বাচনী আসনের বিএনপির ৬ এমপি প্রার্থীদের সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষে ৪/৫টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে অনেকটা থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এইচ এম ইব্রাহিম ঢাকা থেকে চাষীরহাটে পৌছলে দলীয় নেতাকর্মীরা শোভাযাত্রা সহকারে তাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। বিকালে বিএনপি প্রার্থী ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের সমর্থনে এক বিরাট মিছিল বের হলে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা মিছিলে বাধা দেয়। এসময় সোনাইমুড়ি থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলেও পরে উভয় দলের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে সোনাইমুড়ি প্রধান সড়ক থেকে বাজারেও। এ ঘটনায় অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে।

এসময় কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও তার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) রুবেল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মাহবুব উদ্দিন খোকনের ছেলে ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব জানান, তার শরীরে পাঁচটি বুলেট বিদ্ধ হয়েছে। পেছনে চারটি ও সামনে একটি বুলেট বিদ্ধ হয়। সাকিব মাহবুব বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে এক পর্যায়ে পুলিশ এ্যাকশনে যায়।

ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন ছাড়াও এসময় তার সঙ্গে থাকা বিএনপি ও ছাত্রদলের একাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ।

এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাবু জানান, ব্যারিস্টার খোকন নিজে কয়েকটি ট্রাক যোগে মানুষ এনে সোনাইমুড়ীতে হামলা করে। এ সময় তার লোকজন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এই্চ এম ইব্রাহিমের তিনটি নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। তিনি নিজে উস্কানি দিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সোনাইমুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে মাহবুব উদ্দিন খোকন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

Bootstrap Image Preview