নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার দক্ষিণ চরক্লার্ক কেরাণী বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন মুসলিম শিক্ষক নেই। প্রধান শিক্ষক গৌরাঙ্গ কুমার মজুমদার এবং সহকারী শিক্ষক শীলা রাণী পাল ও অজিত চন্দ্র মজুমদারকে দিয়েই চলছে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। এদিকে কোন মুসলিম শিক্ষক না থাকায় ৩য়, ৪র্থ এবং পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা পাঠদান করছেন হিন্দু শিক্ষকরাই। এতে যেমন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানছে তেমনি ছাত্রছাত্রীরা বঞ্চিত হচ্ছে ধর্মীয় শিক্ষা থেকে।
শনিবার (১৫ই ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে প্রধান শিক্ষক গৌরাঙ্গ কুমার মজুমদারের সাথে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, গত ৩০ই জুলাই ২০১৮তে অবসর জনিত কারণে মোঃ ইসমাইল হোসেন নামে একজন মুসলিম শিক্ষক বিদায় নেন। তখন থেকে বিদ্যালয়ে কোন মুসলিম শিক্ষক নেই। আমরা তখন বিষয়টি সাথে উপজেলা শিক্ষা অফিসে অবহিত করি। তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা দিলেও এ যাবৎ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় আপাতত হিন্দু শিক্ষক দিয়েই ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা পাঠদান করতে হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের ৪র্থ এবং ৫ম শ্রেণির কয়েকজন মুসলিম ছাত্র-ছাত্রী জানান, আমরা গত ছয় মাসে কোন ধর্মীয় শিক্ষা পাইনি। হিন্দু স্যার আমাদের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার সিলেবাস মাফিক বাড়ী থেকে পড়ে নিতে বলেছেন। এতে আমরা ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমরা নতুন বছরের পাঠদান থেকে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের এ বিদ্যালয়ে একজন মুসলিম শিক্ষক আশা করছি।
অন্যদিকে ছাত্র-ছাত্রীদের অবিভাবকের সাথে কথা বললে এবিষয়ে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নতুন বছরেও যদি এ বিদ্যালয়ে কোন মুসলিম শিক্ষক না পাই, তবে আমরা আমাদের সন্তানদের অন্য বিদ্যালয়ে নিয়ে যাবো।
এব্যাপারে সুবর্ণচর উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান, সুবর্ণচরে মোট ৯৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৩ জন প্রধান ও ৬৩ জন সহকারি শিক্ষকের সংকট রয়েছে। তবে যেহেতু এ বিষয়টি ধর্মীয়। আমরা চেষ্টা করবো এ বিদ্যালয়ে দ্রুত একজন মুসলিম শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার জন্য।