২৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে বরখাস্ত করে রাজাপাকসেকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে শুরু হয় সাংবিধানিক সংকট ও ক্ষমতা দখলের লড়াই। অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে গেলেন শ্রীলংকার ‘লৌহমানব’ খ্যাত সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে।
এর আগে শুক্রবার মাহিন্দা রাজাপাকসে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেবেন বলে জানান রাজাপাকসের ছেলে এমপি নামাল রাজাপাকসে। এর মধ্য দিয়ে ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রটিতে সাত সপ্তাহে ধরা চলা রাজনৈতিক অচলাবস্থা অবসানের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এএফপি ও শ্রীলংকার স্থানীয় সংবদমাধ্যম আদাদেরানা এ খবর দিয়েছে।
এর মধ্যে পার্লামেন্টে তিন-তিনবার অনাস্থা ভোট পাস হলেও পদত্যাগ করেননি রাজাপাকসে। তার প্রধানমন্ত্রিত্বকে চ্যালেঞ্জ করে শ্রীলংকার আপিল আদালতে (কোর্ট অব আপিল) বিক্রমাসিংহেপন্থী ১২২ এমপির রিটি পিটিশনের পর গত সপ্তাহে এক রায়ে আদালত নির্দেশ দেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার অনুশীলন করা রাজাপাকসের পক্ষে ন্যায়সঙ্গত নয়।
এরপরই আর কোনো উপায় দেখে পদত্যাগের চিন্তাভাবনা করতে থাকেন রাজাপাকসে। এক টুইটবার্তায় নামাল বলেন, ‘দেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
সিরিসেনা বলেন, ‘চলমান রাজনৈতিক সংকট এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধান হবে। সম্পূর্ণভাবেই এর সমাধান করা হবে। এ উদ্যোগ আমি নেব জনগণের জন্য, আপনাদের জন্য এবং আমাদের মাতৃভূমির জন্য। আমি সব রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দলের প্রতি শান্তির হাত বাড়াচ্ছি।’
সপ্তাহ খানেক আগে এক বিবৃতিতে সিরিসেনা বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যেই দেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধান করা হবে। রাজাপাকসেকে শ্রীলংকার একটি আপিল আদালত সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার পর সিরিসেনা এ ঘোষণা দিলেন।
সিরিসেনা আরও বলেন, শ্রীলংকার জনগণের উপকারের জন্য আগামী দিনগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। প্রায় এক সপ্তাহের মাথায় পদত্যাগের সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে রাজাপাকসে সিরিসেনা প্রতিশ্রুত পথেই হাঁটছেন বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
শ্রীলংকায় চলমান সংকটের জন্য প্রথম থেকেই সিরিসেনা বিক্রমাসিংহেকে দায়ী করে আসছেন। বিক্রমাসিংহেকে বরখাস্তের পর জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে অচলাবস্থা তৈরি করেছেন রনিল বিক্রমাসিংহে।