অ্যাকনি বা ব্রণ এমন একটি সমস্যা যার কোনো সঠিক চিকিৎসা নেই। একেক জনের ক্ষেত্রে একেকটি উপায় কাজ করে। দামি দামি ক্রিম, ফেসওয়াশ ও ওষুধ ব্যবহার করে কিছু উপকার পাওয়া যায় কিন্তু কখনোই ব্রণ পুরোপুরি দূর করতে পারে না। তবে নতুন এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ব্রণের উৎপত্তির ক্ষেত্রে বড় একটি কারণ আমাদের চোখ এড়িয়ে গেছে এতদিন।
নেচার কমিউনিকেশনস জার্নালে প্রকাশিত হয় এই গবেষণার ফলাফল। গবেষণার প্রধান লেখক জোনাথন বার্কার। এই গবেষণায় ২৬,৭২২জন ব্যক্তির ত্বকের পরিস্থিতি দেখা হয়, তাদের মাঝে ৫,৬০২ জনের তীব্র ব্রণের সমস্যা ছিল। দেখা যায়, ব্রণের সাথে সম্পর্কিত আছে ১৫ ধরণের জিন। এর বেশিরভাগ জিনই ত্বকের লোম বা হেয়ার ফলিকলের বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত। ব্রণের সাথে যে হেয়ার ফলিকলের সম্পর্ক আছে তা জানা গেল এই প্রথম।
এই সম্পর্ক খুঁজে পাওয়ায় বেশ অবাক হন গবেষকরা। তবে তারা ধারনা করেন, জেনেটিক কারণে হেয়ার ফলিকলের গঠন আলাদা হয় বলেই তারা সহজে ব্রণ ও ইনফ্লামেশনের শিকার হয়।
এর মাঝে একটি জিন ডব্লিউএনটি১০এ এক্টোডার্মাল ডিসপ্লাসিয়ার সাথে সম্পর্কিত। এই ক্ষেত্রে রোগীর চুল হয় পাতলা, তাদের নখ, দাঁত, ত্বক ও বিভিন্ন গ্রন্থির গঠনেও অস্বাভাবিকতা দেখা যায়। ব্রণের রোগীদের জন্য নতুন চিকিৎসা ও ওষুধ উদ্ভাবনে এই গবেষণার তথ্যগুলো কাজে আসতে পারে।
পৃথিবীর প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষের জীবনে কোনো না কোনো সময়ে ব্রণের উপদ্রব দেখা দেয়। ২০ শতাংশ মানুষের শরীরে স্থায়ী দাগ ফেলে যেতে পারে ব্রণ। অনেকের কাছেই তা ছোট সমস্যা মনে হলেও বাকিদের কাছে তা খুবই যন্ত্রণাদায়ক, শারীরিক ও মানসিক উভয় দিক দিয়েই। ব্রণের কারণে তাদের ডিপ্রেশন, বেকারত্ব, আত্মহতার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।