সদ্য শেষ হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে থেকেই গুজন উঠেছিলো সিলেটেই হবে মাশরাফির দেশের মাটিতে শেষ ওয়ানডে। কিন্তু সত্যি কি তাই? অবশ্য ম্যাশ এতো দিন এই প্রসঙ্গে কিছুই বলেননি। আজ ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সিরিজ জয় শেষে আবারো সাংবাদিক সম্মেলনে এসে এমনি প্রশ্নের সম্মুখীন হন তিনি। অবশ্য তাঁর জবাবও দিয়েছেন । তবে সেই জবাব খুব একটা পরিস্কার নয়।
এক বছরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় ওয়ানডে সিরিজ জয় করলো টাইগাররা। এটা সত্যিই বাংলাদেশের জন্য একটা বিরাট অর্জন। কিন্তু এই খুশির মাঝেও মন খারাপ ছিলো কোটি টাইগার ক্রিকেটপ্রেমীর। এটাই বুঝি শেষ হয়ে গেল প্রিয় মাশরাফির শেষ ম্যাচ।
কিন্তু ম্যাচ শেষে এই প্রসঙ্গে মাশরাফির ভাষ্য ছিলো,'না এটা কিন্তু ২০১১ সাল থেকে ,সিরিয়াসলি,২০১১ থেকে প্রত্যেক ম্যাচে নামার আগে মনে হয় যে যদি একটা , আল্লাহ না করুক হাটুতে একটা সমস্যা হয়ে যায়। যে গুলো এর আগে হঠাৎ করেই হয়েছে। তো ২০১১ সাল থেকেই কিন্তু মনে হয় সত্যি কথা । আর আপনি যে অর্থে বলেছেন সেটার ক্ষেত্রে না আসলে এই ভাবে ডিপলি সত্যি কথা বলছি এক দম মনের কথা বলছি । যে কখনো এতো ডিপলি ভাবিনি। কারণ সামনে আরো চ্যালেঞ্জ আছে আমি ওই চ্যালেঞ্জ গুলা নিতে চাই। আর ওয়ার্ল্ড কাপের পরে কি করবো সেটা ওয়ার্ল্ড কাপের শেষ ম্যাচ খেলার পর সিন্ধান্ত নিবো। যদি মনে হয় তো ওই দিনই আপনাদের বলে দিবো। তবে ঘরে এসে বলবো। যদি মনে হয় যে পারছি তখন রিভিউ করে আবার আপনাদের জানাবো । আপনারা এতো পাজেল হয়েন না, একটু রিলাক্স থাকেন।'
আজও ইনজুরি নিয়ে উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন মাশরাফি। তাঁর হ্যামিস্ট্রিংয়ে ব্যথা এখনো পুরোপুরি ভাল হয়নি,আমার যেটা মূল সমস্যা হয়েছিলো আমার হ্যামিস্ট্রিংয়ে ইনজুরিটা এখনো ভালো হয়নি। যদি এই রকম পরিস্থিতি তৈরি না হলে হইতো আমি একটা ম্যাচে... আজকেও এই ম্যাচটা খেলতে আমার অনেক কষ্ঠ হয়েছে।
ম্যাচ শুরুও আগে মাশরাফির রাজনীতিতে আসা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছিলো। রাজনীতির জন্য তিনি খেলায় মনযোগ দিতে পারবেন না, ঠিক ভাবে প্রস্তুতিও নিতে পারবেন না।মাশরাফি জানালেন, যদি প্রস্তুতির কথা বলেন এটা অবশ্যই প্রস্তুতি ছিলো। তো জিম্বাবুয়ে সিরিজের পরে একটা গ্যাপ ছিলো, আমার প্রস্তুতি নেওয়ার। আর সিন্ধার কথা যদি বলেন, আমি সব সময় বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে যেটা ঘটে সেটা কারুণ নিয়ন্ত্রণে থাকে না বাঁ যেটা ঘটার সেটা ঘটবেই। জন্মের পরে সেটা লিখিত থাকে। এখানে আপনি যে সিন্ধান্ত নিতে যান সেটা আপনার পক্ষে বাঁ বিপক্ষে যাবে এই গুলো আপনার সিন্ধানে কিছু পরিবর্তন হবে না। তো টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আমার যে প্লান ছিলো আমি সেটাই করেছি। আমার পুরোপুরি ফোকাস ছিলো টুর্নামেন্ট জুড়ে। এখন হয়তো আমি অন্য কিছু পরিবর্তন করতে পারি।'
ম্যাশের এমন ভাষ্যই বুঝিয়ে দিয়েছে তিনি এখনো খেলা চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক। যদি না তাঁর হাটুতে বড় ধরনের কোন ইনজুরি না হয়। আগামী বছর নিউজিল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডে সফরে যাবে বাংলাদেশ। তাঁরপর সেখান থেকে বিশ্বকাপ খেলতে ইংল্যান্ড যাবে। সেই অপেক্ষায় থাকবে ম্যাশ ভক্তদের এমনটি আশা করছে ক্যাপ্টেন ম্যাশ ।