যুক্তরাষ্ট্র যদি ওয়াইপিজি কুর্দিশ মিলিশিয়াদের সরিয়ে না নেয়, তবে তুর্কি বাহিনী সিরীয় শহর মানবিজে ঢুকে যাবে বলে জানিয়েছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
এতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ন্যাটো মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুরস্কের নতুন উত্তেজনা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
চলতি সপ্তাহে আঙ্কারা জানিয়েছে, ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে নতুন অভিযানে নামবে তুরস্কের সেনাবাহিনী।
শুক্রবার ইস্তানবুলে দেয়া এক ভাষণে এরদোগান বলেন, সিরিয়ার ফোরাত নদীর পূর্ব উপকূলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তুরস্ক দৃঢ়প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সিরিয়া সংকট নিয়ে তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে টানাপড়েন চলছে। সেখানে আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের সামরিক সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
কুর্দিশ পিপলস প্রটেকশন ইউনিটস বা ওয়াইপিজিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে আসছে তুরস্ক। দেশটি বলছে-এটি মূলত নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিরই (পিকেকে) একটি শাখা মাত্র।
১৯৮৪ সাল থেকে এ সংগঠনটি তুরস্কের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে। তুরস্কের মিত্র পশ্চিমা দেশগুলোও পিকেকে-কে একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত করেছে।
বৃহস্পতিবার উত্তর সিরিয়ার আফরিনে কুর্দি মিলিশিয়াদের সঙ্গে গুলিবিনিময়ে এক তুর্কি সেনা নিহত হয়েছেন।
চলতি বছরের মার্চে কুর্দি যোদ্ধাদের কাছ থেকে আফরিনকে মুক্ত করে তুর্কি সেনাবাহিনী। এতে সিরীয় বিদ্রোহীরা আঙ্কারাকে সমর্থন দিয়েছিল।
তবে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় এটি হবে তুরস্কের তৃতীয় কোনো অভিযান। আইএস ও ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এর আগে ২০১৬ সালের আগস্টে ও চলতি বছরের জানুয়ারিতে দুটি অভিযান চালিয়েছিল তুরস্ক।
পেন্টগন মুখপাত্র কমান্ডার সেন রবার্টসন বলেন, সেখানে নতুন করে একতরফা যে কোনো অভিযান গভীর উদ্বেগের ও অগ্রহণযোগ্য।