Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘অবসরে নাতি-নাতনিদের সঙ্গে লুডু খেলি, ক্যারাম খেলি, দাবা খেলি’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:১১ PM
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:১১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, অবসরে নাতি-নাতনিদের সঙ্গে লুডু খেলি, ক্যারাম খেলি, দাবা খেলি।

নানি বা দাদি হিসেবে আপনি কেমন? নাতি-নাতনিদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন? তরুণদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সেটা আমার নাতিদের জিজ্ঞাসা করলে বলবে। আমরা লুডু খেলি, ক্যারাম খেলি, দাবা খেলি।”

“তারা আমার হাতের রান্না পছন্দ করে। আর ছোট একটা আছে সে আবার খুব ডিমান্ড করে, বলে দেয়—তুমিই রান্না করবে। ববির ছোটটা, সে বলে—তুমিই রান্না করবে।”

‘‘সে কোলে চড়ে বসে আবার নির্দেশও দেয়। এটা দাও, ওটা দাও। বৃদ্ধ বয়সে নাতি-নাতনি নিয়ে থাকার চেয়ে আর কোনো সুখের সময় হয় না।”

আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টায় সম্প্রতি রাজধানীর একটি মিলনায়তনে ‘লেট’স টক উইথ শেখ হাসিনা’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ‘লেট’স টক’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো তরুণদের মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তরুণদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী, শোনেন তরুণদের স্বপ্নের কথাও। রান্নাঘরের কথা থেকে শুরু করে, কৈশরের দুরন্তপনা, স্কুলজীবনের মজার ঘটনা, মায়ের কাছে আবদার মেটানোর কৌশল, পারিবারিক ট্র্যাজেডি, বাধার পর বাধা ডিঙিয়ে এগিয়ে চলার গল্পসহ প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে শেখ হাসিনার ব্যক্তি ও রাজনৈতিক জীবনের নানা অজানা কথা উঠে এসেছে লেট’স টক অনুষ্ঠানে।

তরুণদের সঙ্গে প্রাণবন্ত আলাপনের ওই অনুষ্ঠানে এত পরিশ্রমের মাঝে শরীরকে কিভাবে ঠিক রাখছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যায়াম করার সুযোগ হয় না। আর গণভবনে থাকা বন্দিজীবনের মতন। তারপরও চেষ্টা করি সকালে উঠে একটু হাঁটতে। ছাদে হাঁটি।

শেখ হাসিনা বলেন, “পরিমিতভাবে খেলে সুস্থ থাকা যায়। আর চিন্তা-ভাবনাকে সচ্ছ রাখা এবং সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ আমি সুস্থ্য থাকব এটা ভাবা।”

নিজের জীবনটাকে দেশের জন্য উৎসর্গ করেছেন বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আসলে আমার নিজের বলতে কিছু নেই। রাতে ৫ ঘণ্টা ঘুমাই। আর বাকি সময় চেষ্টা করি, কত দ্রুত আমার কাজগুলো শেষ করতে পারি।”

অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা ডা. নুজহাত চৌধুরীর “এত খাটেন, আপা নিজের জন্য সময় পান?” এমন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, “কারণ, আমি জানি যেকোনো মুহূর্তে চলে যেতে হতে পারে। কখনো গুলি, কখনো গ্রেনেড হামালায়। তাই প্রতিটি মুহূর্তে দেশের মানুষের জন্য কিছু করে যাওয়ার চেষ্টা করি।”

Bootstrap Image Preview