Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ব্যারিস্টার আমিনুলকে পরাজিত করার প্রত্যয় আ.লীগ নেতাদের

গোদাগাড়ী প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:২৮ PM
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:২৮ PM

bdmorning Image Preview


দীর্ঘদিনের রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ৭ নেতার সাথে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গোদাগাড়ী তানোরের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর দ্বন্দ মিটিয়ে ফেলার পর এবার নৌকাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে ব্যারিস্টার আমিনুল হককে পরাজিত করার শপথ নিলেন নেতারা।

বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে গোদাগাড়ী শহিদ ফিরোজ চত্ত্বরে পৌর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী সভায় একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে অতিতের সকল রাগ, ক্ষোভ, দ্বিধা-দ্বদ্ধ ভূলে গিয়ে এই প্রত্যয় নেন।

জনসভায় বিপুল সংখ্যক নিতাকর্মী ও জনসাধারণের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। দীর্ঘদিনের সকল কিছু অবসান ঘটিয়ে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীসহ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাশি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য একেএম আতাউর রহমান খান, বদরুজ্জামান রবু মিয়া, এ্যাড. আব্দুল ওহাব জেমস, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মুন্ডমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বনী, গোদাগাড়ী পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগ প্রচার ও প্রাকাশনা সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ও মনোনয়ন প্রত্যাশি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আসাদুজ্জামান আসাদসহ অনেককে একই মঞ্চে দেখে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও আনন্দ দেখা যায়।

জনসভার প্রধান অতিথি ও রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, আজকে আমরা সব কিছু ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। শেখ হাসিনার ডাকে আমার সাথে সকলেই সংহতি প্রকাশ করায় তাদের অভিনন্দন জানাই।

তিনি বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হককে উদ্দেশ্য করে বলেন, জঙ্গিবাদের নেতা ব্যারিস্টার আমিনুল হককে বিজয়ী হতে দেব না। তিনি শুধু মিত্যাচার করেন, আপনি বারবার বলেন- 'রাস্তা করেছেন', সেই রাস্তা টিক নাই। ঠিক থাকবে কিভবে ১২ বছর আগে ক্ষমতায় ছিলেন সেই রাস্তা আর নেই। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর যা উন্নয়ন করেছেন তার কোনটায় করতে পারেননি। আপনার পরাজয় ৩০ তারিখে হবে। আমরা নৌকাকে বিজয়ী করব।

জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি একেএম আতাউর রহমান খান বলেন, আমরা নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম শেখ হাসিনা আমাদের ডেকে নৌকার জন্য কাজ করতে হবে। আমরা এক হয়েছিলাম। ওমর ফারুক চৌধুরী গত পোরশু ডেকে আমাদের নৌকার জন্য কাজ করার জন্য বলেছেন আমরা একমত হয়েছি। আমরা নৌকার জন্য কাজ জরব কোন বিভেদ নাই।

জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি বদরুজ্জামান রবু মিয়া বলেন, বাংলাদেশের জনপ্রিয় জাতীয় নেতা এএইচএম কামারুজ্জামান গোদাগাড়ী -তানোর হতে নির্বাচিত হয়ে জাতীয় নেতা হয়েছিলেন। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসলে আমরা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছি। শেখ মুজিবুরের জন্ম না হলে যেমন বাংলাদেশের উন্নয়ন হতো না তেমনি ভাবে বলব শেখ হাসিনার জন্ম না হলে বাংলাদেশ উন্নত হতো না। আমাদের মাঝে কোন দ্বিদা দ্বদ্ব নাই আমাদের ওমর ফারুক চৌধুরীকে জয়ী করে দেখিয়ে দিতে চাই আমরা এক আছি আমরা জয়ী হয়েছি।

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেন, বিজয়ের মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বর নৌকার মাঝি ওমর ফারুক চৌধুরীকে বিজয়ী দেখতে চাই। আমরা নিজের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলাম। শেখ হাসিনা আমাদের ডেকে বলেছিলেন নৌকা যাকে দিব কাজ করতে হবে। আমরা দু'হাত তুলে কথা দিয়েছিলাম যাকে মনোনয়ন দিবে তার জন্য কাজ করব। আমাদের মধ্যে দ্বন্দ থাকতে পারে কিন্তু নৌকার সাথে বেঈমানি করতে পারব না।

মুন্ডমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানী বলেন, আওয়ামী লীগ বড় দল। একজন প্রার্থী ছিলাম আমি, কখনই নোকার বাইরে ছিলাম না। আমরা নৌকার পালে হাওয়া দিতে শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন করছে তা অব্যহত রাখতে আমরা নৌকাকে বিজয়ী করতে এক্যবদ্ধ আছি।

এ্যাড. আব্দুল ওহাব জেমস বলেন, আমি মনোনিয়ন প্রত্যাশী ছিলাম, আমরা নৌকার লোক শেখ হাসিনার সৈনিক তাই আর দূরে নই এখন হতেই নৌকাকে জয়ী করার জন্য মাঠে নেমে পড়ব।

ওয়ার্কাস পার্টির মনোনয়ন প্রাত্যাশী রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল বলেন, আমি ১৪ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। জোটের সিন্ধান্তে আমি সরে দাঁড়িয়েছি। বংলাদেশে এক্যবদ্ধ সরকার চলছে।

পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি অয়েজ উদ্দীন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে জনসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান চঞ্চল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আকতার হোসেন, গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বদিউজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ প্রমুখ।

Bootstrap Image Preview