৫১টি গণমাধ্যমের মালিক একাই! তরুণ ডিজে শাকিল এই গণমাধ্যমগুলোর মালিক। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তিনি। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তিনি এসব করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
জানা যায়, শাকিল তর মিডিয়ায় নিয়মিত সাংবাদিক নিয়োগ দেন। আইডি কার্ড নিতে গেলে টাকা দিতে হয়। এভাবে সাংবাদিকতার আইডি কার্ড ব্যবসা খুলে বসেছেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ডিজে শাকিল। এমনটাই অভিযোগ রয়েছে তার বীরুধে।
ডিজে শাকিলের বাবা উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি কাজি গোলাম মোস্তফা। আর ডিজে শাকিল
এ বিষয়ে ডিজে শাকিল গণমাধ্যমকে বলেন, আমি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আমার বাবা একজন উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি।
তিনি বলেন, সিরাজগঞ্জ জেলার বড় বড় সাংবাদিক আমার পরিচিত। আমি যা কিছু করেছি তা সরকারি নিয়ম মেনেই করেছি। আমার রিশান গ্রুপে কোনো অনিয়ম নেই।
সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন জনবহুল স্থানে ডিজে শাকিলের বিভিন্ন গণমাধ্যমের ছবি টানানো রয়েছে। এর মধ্যে বেশকিছু রয়েছে অনলাইন টিভি, বেশকিছু পত্রিকা, কিছু অনলাইন পোর্টাল। এসব গণমাধ্যমে সাংবাদিক নিয়োগ হবে এই মর্মে লোগোসংবলিত ব্যানার সাঁটানো রয়েছে শহরজুড়ে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ডিজে শাকিল টাকার বিনিময়ে আইডি কার্ড দিয়ে ব্যবসা খুলে বসেছে। এভাবে তিনি মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু তার দলীয় প্রভাবের কারণে কেউ প্রকাশ্যে কোনো অভিযোগ বা প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।
এ বিষয়ে তাড়াশ থানার অফিসার ইনর্চাজ মোস্তাফিজুর রহমান স্থানীয় একটি গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি, তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।