মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার এক অসত্য টুইটার বার্তায় দাবি করেছেন, ডেমোক্র্যাট সিনেটররা সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে মিলে ইরানকে ১৫০ বিলিয়ন ডলার অর্থ দিয়েছিলেন। কাজেই মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের জন্য মাত্র পাঁচ বিলিয়ন ডলার অর্থ বরাদ্দ দিতে তাদের কার্পণ্য করা উচিত নয়।
ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট-নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করতে গিয়ে আবারো ইরান সম্পর্কে মিথ্যাচার করেছেন। তিনি আমেরিকার দক্ষিণ সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ চাইতে গিয়ে ওই মিথ্যা বলেন।
ট্রাম্পের টুইটার বার্তায় বলা হয়েছে, ডেমোক্র্যাটস ও প্রেসিডেন্ট ওবামা ইরানকে ১৫০ বিলিয়ন ডলার অর্থ দিয়ে বিনিময়ে কিছুই পাননি। অথচ তারা কি জাতীয় নিরাপত্তা ও একটি প্রাচীরের জন্য পাঁচ বিলিয়ন ডলার অর্থ দিতে পারবেন না?
ট্রাম্প ১৫০ বিলিয়ন ডলারের দাবি তুললেও ওবামা প্রশাসন ইরানকে শুধুমাত্র তার বহুদিনের পাওনা পরিশোধ করেছিল এবং সে পরিমাণ ছিল মাত্র এক দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার। ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে সমরাস্ত্র কেনার জন্য তেহরান ওয়াশিংটনকে ওই অর্থ দিয়েছিল। কিন্তু বিপ্লবের মাধ্যমে ইসলামি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রতিশ্রুত অস্ত্র দিতে অস্বীকৃতি জানায় আমেরিকা। সেইসঙ্গে অস্ত্রের জন্য প্রদেয় অর্থ ফেরত দিতেও গড়িমসি করে। শেষ পর্যন্ত ২০১৬ সালে ওবামা প্রশাসন ইরানকে সেই পাওয়া ১.৭ বিলিয়ন ডলার অর্থ ফেরত দেয়।
এর আগে, ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০১৫ সালে জানিয়েছিল, দেশটির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে আমেরিকায় ইরানের ২৯ বিলিয়ন ডলার নগদ অর্থ আটকা পড়ে রয়েছে।