ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত চুক্তি ব্রেক্সিট নিয়ে অনাস্থা ভোটের মুখে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। বিরোধী দলসহ নিজ দলের মন্ত্রীদের সমালোচনার পর এবার তাকে এ ভোটের মুখে পড়তে হলো।
তার নেতৃত্ব থাকবে কিনা সেই বিষয়ে ভোট হচ্ছে পার্লামেন্টে। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে ভোট হওয়ার কথা। এই ভোটের মাধ্যমে তার ভাগ্য নির্ধারিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর বিবিসি ও ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের
প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেছেন, ভোটাভুটিতে হওয়া সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেবেন। তিনি আরো বলেন, নতুন প্রধানমন্ত্রীকে হয় ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে বিলম্ব করতে হবে কিংবা বন্ধ করে দিতে হবে। অনাস্থা ভোটে থেরেসা মে’র জয়ের সম্ভাবনা আছে। কারণ তার টোরি বা কনজারভেটিভ দলের ১৭৪ এমপি প্রকাশ্যে বলেছেন, তারা থেরেসা মে কে সমর্থন দেবেন। ৩৪ জন প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে ভোট না দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। জয়ী হতে থেরেসা মে কে ১৫৮টি ভোট পেতে হবে। থেরেসা মে জয়ী হলে আগামী এক বছর পর্যন্ত দলে তার নেতৃত্ব নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকবে না। জয়ী না হলে তিনি দলের নেতৃত্ব এবং অবশেষে প্রধানমন্ত্রীত্ব হারাতে পারেন। তবে সামান্য ভোটের ব্যবধানে জয়ী হলে তিনি নেতৃত্ব থেকে সরেও যেতে পারেন।
কনজারভেটিভ পার্টির তথাকথিত ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান গ্রাহাম ব্র্যাডি জানিয়েছেন, দলের সংবিধান অনুযায়ী, পার্লামেন্টে দলের ১৫ ভাগ এমপি চাইলে অনাস্থা ভোটের আয়োজন করতে হয়। কিন্তু তার চেয়েও বেশি এমপি এবার ওই ভোটাভুটি চেয়েছেন। বুধবার রাতেই হাউস অফ কমন্সে সেই ভোটাভুটির ফলাফল ঘোষণার কথা। মঙ্গলবার ব্রেক্সিট বিলটি নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভোট দেওয়ার কথা ছিল ব্রিটিশ এমপিদের। শেষ মুহূর্তে থেরেসা মে ভোট স্থগিত করেন।