গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার একটি বাঁশঝাড় থেকে সাদমান ইকবাল রাকিন (১০) নামক নিখোঁজ স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।গত ৫ ডিসেম্বর (বুধবার) সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেড় হয়ে নিখোঁজ হয় সে।
মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ফাউগান এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত রাকিন শামীম ইকবালের বড় ছেলে ও স্থানীয় ফাউগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এ বছর পিএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। চলতি ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে পিএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কথা রয়েছে।
নিহতের চাচা জাহিদুল ইসলাম জানান, গত ৫ ডিসেম্বর (বুধবার) সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে মসজিদে মাগরিবের নামাজের উদ্দেশে বের হয়। এরপর সে মসজিদেও যায়নি। আর বাসায় ফেরেনি। তখন থেকেই তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। নিখোঁজের ঘণ্টাখানেক পর রাকিনের বাবাকে মুঠোফোনে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
রাকিনের বাবা গাজীপুর জেলা পরিষদের কার্য্য সহকারী শামীম ইকবাল জানান, গত প্রায় ৬ মাস আগে তার স্ত্রীর ব্যবহার করা একটি মোবাইলসেট সিমসহ হারিয়ে যায়। কিন্তু ফোনসেট হারানোর বিষয়ে তিনি কোনো সাধারণ ডায়েরী করেননি। ওই নাম্বার থেকেই নিখোঁজের আনুমাণিক এক ঘণ্টা পর ফোনে তার কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে মুঠোফোন বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে তিনি এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় একটি মামলা করেন।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বাড়ির পশ্চিমপাশের একটি বাঁশঝাড়ে এলাকাবাসী তার মরদেহ দেখতে পান। তাঁর ১৮ মাসের আরেকজন শিশু সন্তান সামীর রয়েছে।
ফাউগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রুবিয়া খাতুন বলেন, ছাত্র হিসেবে রাকিন মোটামুটি ভাল ছিল। বিদ্যালয়ে তার নিয়মিত উপস্থিতি ছিল।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ইসলাম জানান, নিখোঁজ ও মুক্তিপণের ঘটনায় থানায় একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে। শ্বাসরোধে হত্যার প্রাথমিক আলামত পাওয়া গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তার তৎপরতা প্রক্রিয়াধীন।