Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

উত্তাল ফ্রান্সে ‘জাতীয় ঐক্য পুনঃপ্রতিষ্ঠার’ ডাক প্রধানমন্ত্রীর

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৫:২৪ PM
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৫:২৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে টানা চার সপ্তাহের আন্দোলন ও সহিংসতার পর ‘জাতীয় ঐক্য পুনঃপ্রতিষ্ঠার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এদুয়ার্দ ফিলিপ।

আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কোনো করই আমাদের জাতীয় ঐক্যকে গুঁড়িয়ে দিতে পারবে না। আমাদের এখন আলোচনার মাধ্যমে একে অপরের কাছাকাছি আসতে হবে। জাতীয় ঐক্যকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’

প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাত্রেঁদ্ধা সংলাপকে উৎসাহিত করতে শিগগিরই নতুন ঘোষণা দেবেন বলে রোববার জানিয়েছেন সরকারের মুখপাত্র বেঞ্জামিন গ্রিভক্স। খবর বিবিসির।

রাজপথে নেমে আসা ‘ইয়োলো ভেস্ট’ আন্দোলনকারীদের দমাতে শনিবার পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও মরিচের গুঁড়া ব্যবহার করে। সহিংস বিক্ষোভকারীরা দোকানে দোকানে লুটপাট চালায়।

ভাংচুর করে বাড়িঘর, দোকানপাটের জানালা-দরজার কাচ। আগুন দিয়েছে গাড়িতে। রাস্তায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিক্ষোভকারীরা। মধ্যরাত পর্যন্ত এ বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল।

এতে আহত হয়েছেন তিন গণমাধ্যমকর্মীসহ অর্ধশতাধিক মানুষ। সহিংস বিক্ষোভ দমনে গণগ্রেফতার করতে বাধ্য হয় পুলিশ। এ দিন প্রায় ১ হাজার ৭২৩ জনকে আটক করা হয়। এর মধ্যে রোববার পর্যন্ত শুধু প্যারিসেই ৬৭০ জন বিক্ষোভকারী কারাগারে ছিলেন।

শনিবার চতুর্থ সপ্তাহের এ বিক্ষোভে আগে থেকেই সহিংসতা ছড়ানোর শঙ্কায় উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল। এদিন ফ্রান্সজুড়ে ১ লাখ ৩৬ হাজার মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।

১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে প্রায় ২ লাখ ৮২ হাজার আন্দোলনকারী উপস্থিত ছিলেন। ট্যাক্সি চালকদের হলুদ জ্যাকেট পরে আন্দোলনে শামিল হওয়ায় এর নাম হয়েছে ‘ইয়োলো ভেস্ট’ আন্দোলন।

আন্দোলনকারীরা ‘ম্যাত্রেঁদ্ধার পদত্যাগ চাই’, ‘ধনী প্রেসিডেন্ট চাই না’ স্লোগানে রাজপথ গরম করে রেখেছিলেন। আন্দোলন ঠেকাতে সরকার দেশজুড়ে ৯০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করেছিল।

প্যারিসে মোতায়েন ৮ হাজার সদস্যের সঙ্গে ১২টি সাঁজোয়া যানও ছিল। রোববারও প্যারিসসহ লা বার্ক শহরে ছোট পরিসরে বিক্ষোভ হয়েছে।

ফ্রান্স সরকার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ। অস্থিরতা সামাল দিতে সক্ষম হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রশংসা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খ্রিস্টোফ কাস্তেনেয়ার।

এক টুইটে প্রেসিডেন্ট ম্যাত্রেঁদ্ধাও ‘সাহস ও অভাবনীয় দক্ষতা দেখানোয়’ পুলিশ সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বিক্ষোভ দমনে ম্যাত্রেঁদ্ধা আগামী সপ্তাহেই নতুন ঘোষণা দেবেন বলে জানান বেঞ্জামিন। তবে নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করেননি তিনি।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার বাড়তি করের প্রস্তাব বাতিলের ঘোষণা দিলেও আন্দোলনকারীদের শান্ত করা যায়নি। শীত মৌসুমে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির যে পরিকল্পনা ছিল তাও স্থগিত করেছে সরকার।

আন্দোলন এখন আর কেবল জ্বালানির বাড়তি কর কমানোর দাবিতেই আটকে নেই। ফ্রান্সের বহু জায়গায় বেতন বৃদ্ধি, কর কমানো, পেনশন বৃদ্ধি, বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ বাড়ানোর দাবিও উঠেছে।

Bootstrap Image Preview