দেশের প্রায় ১৫ লাখ মানুষ গেঁটে বাত (রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস) রোগে আক্রান্ত। পুরুষের তুলনায় নারীরা এবং গ্রামাঞ্চলে এ রোগে আক্রান্তের হার বেশি।
গড়ে আক্রান্ত রোগীদের তিনজনের মধ্যে দু’জনই নারী। রবিবার গেঁটে বাত সম্পর্কিত এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে অনুষ্ঠিত সভায় এ রোগের প্রকোপে পঙ্গুত্ব ঠেকাতে সমন্বিত চিকিৎসার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা বলছেন, গেঁটে বাত শরীরের জয়েন্ট বা গিরায় প্রদাহজনিত রোগ। যে কোনো বয়সেই এ রোগ শুরু হতে পারে। এটি একটি অটোইমিউন রোগ। তবে এর পাশাপাশি জীনগত ত্রুটি ও পরিবেশগত কারণেও এ রোগ হতে পারে। এ ছাড়া গ্রামাঞ্চলে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি।
সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলজি রিহ্যাবিলিটেশন ক্লিনিক, ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগ। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. তসলিম উদ্দিন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মশিউর রহমান খসরু। সভায় রোগীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন অধ্যাপক ডা. শামসুন নাহার, অধ্যাপক ডা. একেএম সালেক, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, অধ্যাপক ডা. এমএ শাকুর।
বক্তারা বলেন, এ রোগে সাধারণত দু’পাশের হাত ও পায়ের ছোট গিরাগুলো আক্রান্ত হয়। গিরাগুলো ফুলে লাল হয়ে যায়। ব্যথা করে। সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠার পর গিরাগুলোতে আড়ষ্ঠভাব হয়। যা কাজকর্ম করতে থাকলে ধীরে ধীরে কমে যায়। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার এক শতাংশ এ রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ এবং ভারতে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ আক্রান্ত। বাংলাদেশে এ রোগীর হার শতকরা শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। এ রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব নয়। কিন্তু চিকিৎসায় ও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চললে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।