চাঁদে পুনরায় অভিযানের প্রস্তুতি পুরোপুরি সম্পন্ন করে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা (নাসা)। এবার বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে চাঁদে মানুষের বসবাসের বাসনা।
২০১৯ সালের শুরুতেই চাঁদে একটি মহাকাশযান গড়তে বৃহস্পতিবার ২৬০ কোটি ডলারের চুক্তি সম্পন্ন করেছে সংস্থাটি। এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ৯টি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে নাসা। মহাকাশ সংস্থাটির এ অগ্রগিতর ফলে আগামী এক দশকের মধ্যে চাঁদের বুকে মানুষের বসবাস সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে এএফপি।
নাসার প্রশাসনিক প্রধান জিম ব্রিডেন্সটাইন বলেন, ‘চাঁদের বুকে মানুষ পাঠানোর বাস্তব প্রক্রিয়া শুরু করল যুক্তরাষ্ট্র। আমাদের এ গ্রুপে যোগ দিয়েছে মার্কিন জায়ান্ট কোম্পানি লকহিড মার্টিন।’ নাসার সঙ্গে কাজ করার দীর্ঘ সফলতা রয়েছে কোম্পানিটির। সোমবার যে যান মঙ্গল ছুঁয়েছে সেটিও লকহিড মার্টিনের তৈরি। নাসার সঙ্গে এ চুক্তিতে আরও রয়েছে অ্যাস্ট্রোবোটিক টেকনোলজি, ডিপ স্পেস সিস্টেমস, ড্রাপার, ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেস, ইনটুইটিভ মেশিনস, মাসটেন স্পেস সিস্টেমস, মুন এক্সপ্রেস ও অরবিট বিয়ন্ড।
১৯৬৯ সালে মানুষ প্রথমবারের মতো চাঁদের বুকে পা রেখেছিল। মার্কিন নভোচারীরা অ্যাপোলো ১১ নভোযানে চড়ে সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করেন। ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর মাসে সর্বশেষ চন্দ্রাভিযান অ্যাপোলো ১৭ পরিচালনা করা হয়।
এরপরে চন্দ্র অভিযানে যায়নি কেউ। ২০১৭ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে চন্দ্র অভিযানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। নাসার পরিকল্পনা অনুসারে, চাঁদে আবার মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা মাথায় রেখে বিশেষ রোবট নির্মাণের কাজ ২০২২ সালেই শুরু হতে পারে।
এই বছরের মধ্যে রোবট চাঁদে একটি ঘূর্ণায়মান স্টেশন গড়ে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে। নাসার পরিকল্পনায় রয়েছে, ২০২৩ সালের মধ্যে প্রথম রকেট মহাকাশচারীদের বহন করে চাঁদে নিয়ে যাবে। আর ২০৩০ সাল থেকেই মানুষ চাঁদে বসবাসের সুযোগ পাবে বলে আশা করছে নাসা।