বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ফারহানার অপসারণসহ ১১ দফা দাবি নিয়ে ক্যাম্পাস অবরুদ্ধ করেছে শিক্ষার্থীরা।
৯ ডিসেম্বর সকাল ৯ টায় আন্দোলনের কারণে কলাবাগানস্থ বিজয় ক্যম্পাসের ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। বোর্ড অব ট্রাষ্টিজের অযাচিত বিভিন্ন হস্তক্ষেপের কারণে শিক্ষককের চাকুরি চলে গেছে বলে দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা। তাই এবার আন্দোলনে নামতে বাধ্য হলাম আমরা। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে না, ততক্ষণ আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে অবরুদ্ধ করে রাখবো।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, আগেও আমরা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলনে নেমেছি, তখনও কর্তৃপক্ষের শুধু আশ্বাসই পেয়েছি। কিন্তু এবার আর কোন আশ্বাস নয়, সরাসরি আমাদের দাবিগুলোর বাস্তবায়ন চাই।
আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, গত এক মাসে বিভিন্ন বিভাগের ৯জন শিক্ষককে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। এসইউবি'র উপদেষ্টা অধ্যাপক এস এম ফায়েজ, ব্যবসা শিক্ষা বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক মহব্বত আলী, প্রভাষক এজাজ জামান, জাবের আল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর হাবিব কিবরিয়া, ইংলিশ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শাহিন মাহবুবা কবির, স্থাপত্য বিভাগের প্রধান সাজ্জাদ কবির, স্থাপত্য বিভাগের লেকচারার মিজান, ট্রেজারারকে কোন কারণ ছাড়াই চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। তাই শিক্ষার্থী বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে সঙ্গতি বজায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ থেকে ১১টি দাবি দেওয়া হয়েছে। দাবিগুলো হলো...
১, চাকুরিচ্যুত সকল শিক্ষকদের স্ব স্ব পদ ফিরিয়ে দিতে হবে।
২, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ফয়েজকে স্ব-পদ ফিরিয়ে দিতে হবে।
৩, বিনা নোটিশে বা ইউজিসির আইনের বাইরে গিয়ে কোনো শিক্ষককে অপসারণ করা যাবে না।
৪, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ফারহানাকে অপসারণ করতে হবে।
৫, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের দ্বারা কোন শিক্ষককের সাথে খারাপ ভাষায় (কুরুচিপূর্ণ) কথা বলা যাবে না।
৬, সেমিস্টারের টিউশন ফি কমাতে হবে।
৭, সকল জরিমানা সম্পূর্ণরূপে মওকুফ করতে হবে।
৮, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘নতুন কিছু ডটকম’ আবার চালু করতে হবে।
৯, লাইব্রেরিতে আধুনিক বইসহ সকল ফেসিলিটিজ বাড়াতে হবে।
১০, ক্যান্টিনের খাবারের মান আরো বাড়াতে হবে, দাম কমাতে হবে, খাবারের আইটেম বাড়াতে হবে।
১১, আন্দোলনরত কোন শিক্ষার্থীর উপর একাডেমিক, শারীরিক, মানসিক অত্যাচার করা যাবে না।