Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৬ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আমরা উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে নারীদের সম্পৃক্ত করেছি: প্রধানমন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:১০ PM
আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:২১ PM

bdmorning Image Preview


বেগম রোকেয়ার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় নিজেদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে সোনার বাংলাদেশ গড়তে নারী সমাজের প্রতি ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নারীর ক্ষমতায়নে বিভিন্নভাবে অবদান রাখায় এসময় ৫ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলেদেন প্রধানমন্ত্রী।

রবিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রোকেয়া পদক-২০১৮ প্রদান ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পদক বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেগম রোকেয়া ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক। বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত তিনি। প্রবন্ধ, গল্প ও উপন্যাসের মধ্য দিয়ে নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং নারী-পুরুষের সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের কথা উঠে এসেছে তাঁর লেখায়। চিন্তা-চেতনা এবং মননে তিনি (বেগম রোকেয়া) একজন প্রগতিশীল ব্যক্তিত্ব। বেগম রোকেয়ার আদর্শ, সাহস এবং কর্মময় জীবন নারীসমাজের এক অন্তহীন প্রেরণার উৎস।

শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত করেন। নারী সমাজের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৭ সালে সর্বপ্রথম জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ঘোষণা করে।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ‘আমরা দেশে নারী শিক্ষার প্রসার, নারীর আর্থসামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমরা নারী উন্নয়ন নীতি– ২০১১ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করছি।’

বঙ্গ বন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, বাল্য বিবাহ নির্মূলের জন্য ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন – ২০১৭’ প্রণয়ন করা হয়েছে। নারী শিক্ষার প্রসারে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছে। উপবৃত্তি, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, শিক্ষার্থী ঝরেপড়া রোধ এবং জেন্ডার সমতায় সরকার প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখছে। এর ফলে নারীরা আজ কর্মমুখী। বেড়েছে নারীদের কর্মসংস্থান। নারীরা হয়েছে সাবলম্বী।

দশের উন্নয়নে বাংলাদেশের নারী-পুরুষ আজ একসঙ্গে কাজ করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ উল্লেখ করে  শেখ হাসিনা বলেন, নারীবান্ধব বাজেট প্রণয়নের মাধ্যমে আমরা উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে নারীকে সম্পৃক্ত করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, নারী উন্নয়নের স্বীকৃতি হিসেবে আমরা জাতিসংঘের ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ এবং গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরাম প্রদত্ত ‘এজেন্ট অভ্ চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছি। নারী ও কন্যাশিশুর সাক্ষরতা ও শিক্ষা প্রসারে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ইউনেস্কো আমাকে ‘শান্তিবৃক্ষ’ স্মারক পুরস্কারে ভূষিত করেছে।

নিজেদের মেধা ও কর্মের মাধ্যমে নারী উন্নয়নে অবদান রাখায় যে সকল নারী ‘রোকেয়া পদক ২০১৮’ লাভ করেছেন, তাঁদের আন্তরিক অভিনন্দনও জানান তিনি।

বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচি এবং বেগম রোকেয়া পদক-২০১৮ প্রদান অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন তিনি।

Bootstrap Image Preview